স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কাইয়ারগাঁও গ্রামের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী গায়ক মো. গোলাপ মিয়া। বেহালা বাজিয়ে গান গেয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার আয়ের অবলম্বন বেহালাটি নিজ বাসা থেকে গত বছর শবে-বরাতের রাতে চুরি হয়ে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের সাথে সাক্ষাতে তিনি বেহালা চুরি ঘটনা উল্লেখ করে সহায়তা চান। তখন জেলা প্রশাসক তার জন্য একটি নতুন বেহালার ব্যবস্থা করে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ শফিউল আলম, সহকারি কমিশনার ফয়সাল রায়হান, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী গোলাপ মিয়ার স্ত্রী ও সন্তান।
জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে নতুন বেহালা পেয়ে ভীষণ খুশি হন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী গায়ক মো. গোলাপ মিয়া। আবেগ আপ্লুত হয়ে গোলাপ মিয়া বলেন, বেহালা পাওয়ায় আমার খুব উপকার হবে। আমি জীবন ধারণের জন্য নতুন করে বাঁচার অবলম্বন পেয়েছি। আমি আবারও নতুন করে সুনামগঞ্জের পথে-প্রান্তরে গান গাইবো। আমি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ গায়ক গোলাপ মিয়াকে বলেন, আপনি গান চালিয়ে যাবেন। আমরা আপনার পাশে থাকবো।
প্রসঙ্গত, মো. গোলাপ মিয়া ১৫ বছর বয়সে টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত দুটি চোখেরই দৃষ্টিশক্তি হারান। তিনি দীর্ঘ ২৫-২৬ বছর যাবৎ লোকগান গেয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। গোলাপ মিয়া ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ের জনক। তার এক ছেলে কাইয়ারগাঁও এলাকাধীন আনন্দ স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র এবং আরেক ছেলে কাইয়ারগাঁও মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। গত বছর শবে বরাতের রাতে তার বাসা থেকে বেহালাটি চুরি হয়ে যায়। তার গানের অপরিহার্য অংশ বেহালাটি চুরি হয়ে যাওয়ায় তিনি খুবই অসহায় এবং তার আয় কমে যাওয়ায় দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। বিভিন্ন জায়গায় আবেদন নিবেদন করেও তিনি একটি বেহেলা যোগাড় করতে পারছিলেন না।