1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৯ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০১৯


মোসাইদ রাহাত ::

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেছেন, উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে। কিন্তু অনিয়মের সঙ্গে কোনো আপস করা হবে না। যদি নির্বাচনের আগের রাতে কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় তাহলে ওই কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। তাছাড়া নির্বাচনের দিন সামান্য অনিয়ম হলে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বুধবার সকালে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ১০ মার্চ সুনামগঞ্জের ১০ উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী আরো বলেন, যেহেতু নির্বাচন কমিশনের পর্যাপ্ত জনবল নেই সুতরাং এই নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমাদের নির্ভর করতে হয় জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও আইনশৃঙ্ঘলা বাহিনী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের উপর। সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি একটি অবাধ নিরপেক্ষ এবং আইনানুগ নির্বাচন পরিচালনার জন্যই দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। কোনো নির্বাচনে পূর্ব রাত্রে ভোট বাক্সে ব্যালট ভরে দেওয়া, ভোটের দিনে ও ভোট গণনার সময় কোনোরকম অনিয়ম হলে আমরা তা সাথে সাথে প্রতিহত করবো। এই ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্স ঘোষণা করলাম। আমাদের সাধারণ ভোটাররা যেন শান্তিতে নির্বিঘেœ ভোট প্রদান করতে পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। যদি ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে না পারেন তাহলে সেটা হবে আমাদের জন্য লজ্জার।
অনিয়মের বিরুদ্ধে সতর্ক করে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, যদি কখনও কোনো জায়গায় কোনো প্রার্থী, দল বা কেউ অতিরিক্ত নিষ্পপ্রয়োজনীয় আইন ব্যত্যয়কারী ঘটনা সৃষ্টি করে বা নির্বাচন রিটার্নিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণের বহির্ভূত হয়ে যাবে- এমন কিছু হলে পুরো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বন্ধ হবে। কিন্তু নির্বাচনে কোনো রকম অনিয়মের সাথে আপস করা যাবে না।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যদি রিটার্নিং অফিসার মনে করেন যে তার সম্পূর্ণ উপজেলায় নির্বাচন করার পরিবেশ নেই, তাহলে সেটা বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করবেন। কমিশন সেটা বন্ধ করে দিতে পারবে। আমরা সে অবস্থানে থাকতে চাই।
শাহাদাত হোসেন চৌধুরী আরো বলেন, কোনো রকম চাপের মুখে পড়ে কাজ করা যাবে না। কেউ যদি মনে করেন নির্বাচনের চাপ গ্রহণ করতে পারবেন না, তারা আমাদের জানান আমরা আপনাদের নির্বাচনী কাজ থেকে অব্যাহতি প্রদান করবো।
তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয়, এর দায় নির্বাচন কমিশনের উপর পড়বে। আমরা আইনানুগ পর্যায়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই।
শাহাদাত হোসেন চৌধুরী আরো বলেন, আমরা সবাই এই দেশের নাগরিক। একটি প্রধান দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি, সুতরাং এটা স্বাভাবিক ভোটের সংখ্যা কম হতে পারে। প্রার্থী হিসেবে যারা আছেন তারা কোন দলের তা আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়। প্রত্যেকই সচেতন নাগরিক হিসেবে একটি ভালো নির্বাচন উপহার দিতে না পারি সেক্ষেত্রে ভোটারদের একটি অনাস্থা তৈরি হবে; যেটা কারো জন্যই মঙ্গলময় হবে না।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভায় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাস, বিজিবি ২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায় লে. কর্নেল মাকসুদুল আলম, পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান, র‌্যাব-৯ এর কোম্পানি কমান্ডার ফয়সল আহমেদ, সিলেট বিভাগ আঞ্চলিক নির্বাচনী কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শরিফুল ইসলাম, জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা মো. মুরাদ আহমেদ, নিরাপত্তা পরিদর্শক আবুল হোসাইন প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। নির্বাচনের সরঞ্জাম ব্যালট পেপার নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে দেয়া হবে। তাছাড়া সুনামগঞ্জের ১০টি উপজেলাকে আমরা দুই ভাগে ভাগ করেছি। প্রথম ভাগে ছাতক, দোয়ারাবাজার, দিরাই, তাহিরপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা মো. মুরাদ আহমেদ এবং দ্বিতীয় ভাগে সুনামগঞ্জ সদর, জামালগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, ধর্মপাশা, শাল্লা উপজেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শরিফুল ইসলামকে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা আশাবাদী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com