স্টাফ রিপোর্টার ::
যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সুনামগঞ্জে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ কমিটি (নাটাব)-এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা নাটাবের সভাপতি ধূর্জটি কুমার বসু।
নাটাবের সাধারণ সম্পাদক নির্মল ভট্টাচার্য্য’র পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ মনোওয়ার আলী, স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার ও সিভিল সার্জন প্রতিনিধি মোহাম্মদ ওমর ফারুক, নাটাব প্রতিনিধি সুমন চৌধুরী প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় নাটাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ৪৪ হাজার ২০১জন। যার মধ্যে শিশু যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে ১০ হাজার ১৮৯জন। যার মধ্যে এক্সডিআর টিবি এর সংখ্যা ১২ জন। সকল ধরনের যক্ষ্মা রোগীর রোগ শনাক্তকরণের হার ৬৭%।
সভায় আরো জানানো হয়, প্রতিলাখে বছরে নতুন যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ২২১ জন। তাছাড়া বছরে যক্ষ্মা রোগের কারণে মৃত্যু হয়েছে প্রতিলাখে ৪০ জনের। বর্তমানে ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ৩০০জন।
সভায় বক্তারা বলেন, নাটাব ১৯৪৮ সাল থেকে যক্ষ্মা রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। আগে একটি প্রচলিত কথা ছিল- ‘যক্ষ্মা হলে রক্ষা নাই’। কিন্তু বর্তমানে এই কথার কোনো ভিত্তি নাই। যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বর্তমানে আগের চেয়ে অনেক কমেছে। যক্ষ্মা রোগ হলে প্রয়োজন সঠিক চিকিৎসার। যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি যদি সঠিক চিকিৎসা না করায় তাহলে তার মৃত্যু নিশ্চিত।
বক্তারা আরো বলেন, সরকার যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা বিনামূল্যে করাচ্ছে। এমন কি কোনো রোগী যদি যক্ষ্মা রোগের শনাক্তকরণ পরীক্ষা করাতে না পারেন তাহলে ব্র্যাকের মাধ্যমে তা সহজেই করানো যায়। যক্ষ্মা রোগীর জন্য সকল ওষুধ বিনামূল্যে দিচ্ছে সরকার। এবং প্রতিটি রোগীকে বাসায় বাসায় গিয়ে ওষুধ খাওয়ানোরও ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া আমরা দেখেছি অনেক রোগী কিছুদিন ওষুধ খাওয়ার পর আর খেতে চান না তাদেরকে আমাদের বুঝাতে হবে ওষুধের গুরুত্ব সম্পর্কে। আমাদের সবাইকে যক্ষ্মা রোগের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।