ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার ধানকুনিয়া ও চন্দ্র সোনার থাল এই দুটি হাওরের ১০/১২টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই দুটি হাওরের বাঁধের কাজ পরিদর্শন করা হয়। এর মধ্যে চন্দ্র সোনার থাল হাওরের হুলাসখালি ফসলরক্ষা বাঁধের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজে গিয়ে পিআইসি কমিটির একজন সদস্যও উপস্থিত না থাকায় এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজটি বন্ধ দেখতে পেয়ে তিনি বিস্মিত হন।
পুলিশ সুপার বরকতুল্লাহ খান হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজের অগ্রগতি ও মান নিয়ে তিনি স্থানীয় লোকজনদের সঙ্গেও কথা বলেন। বাঁধের কাজ পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু তারেক, ধর্মপাশা সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার, ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাজুল ইসলাম, জেলার বিশেষ শাখার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারি প্রকৌশলী ও ধর্মপাশা উপজেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব মাহমুদুল ইসলাম, সাংবাদিক সালেহ আহমদ, হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের ধর্মপাশা উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব চয়ন কান্তি দাস প্রমুখ।
পুলিশ সুপার বরকতুল্লাহ খান সাংবাদিকদের বলেন, ধর্মপাশা উপজেলার দুটি হাওরের মধ্যে যে কয়টি ফসলরক্ষা বাঁধের প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ আমরা ঘুরে দেখেছি সেগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজই ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হবেনা বলে আমাদের মনে হয়েছে। এখানকার হাওরের কৃষকদের বোরো ফসলরক্ষায় বাঁধের কাজ নিয়ে যারা নয় ছয় করবে তাদের বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।