সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি প্লেন অপহরণের চেষ্টার ঘটনাটি দক্ষতার সঙ্গে মাত্র ৮ মিনিটে অবসান ঘটিয়েছে কমান্ডো বাহিনী। প্লেনের ১৪৮ আরোহী নিরাপদে নামতে সক্ষম হয়েছেন। তবে কমান্ডো অভিযানে মারা গেছেন ছিনতাইকারী।
এ বিষয়ে শাহ আমানত বিমান বন্দরে রোববার রাতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান।
তিনি বলেন, মাত্র আট মিনিটে ছিনতাই ঘটনার অবসান ঘটানো হয়েছে। লে. কর্নেল ইমরুলের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ছিনতাইকারীর সঙ্গে একটি পিস্তল থাকার তথ্য জানিয়ে মেজর জেনারেল মতিউর বলেন, ছিনতাইকারীর বয়স ২৫-২৬। ক্রুকে সে তার নাম ‘মাহাদী’ বলে জানিয়েছে।
অভিযানের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আমরা ছিনতাইকারীকে কথোপকথনের মাধ্যমে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করি, পাশাপাশি পরিকল্পনা সাজিয়েছি। এক পর্যায়ে তাকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হলে সে তা প্রত্যাখ্যান করে। পরে সে অভিযানে অংশ নেওয়া কমান্ডোদের উপর আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে। এ পর্যায়ে কমান্ডো অভিযানে প্রথমে আহত, পরে নিহত হয় ছিনতাইকারী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পাইলট আমাদের প্রথম জানান ছিনতাইকারী বিদেশি। তবে তার সঙ্গে কথা বলে পরে তাকে বাংলাদেশি মনে হয়েছে। তবে তার বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানা যায়নি।
ছিনতাইকারীর দাবির বিষয়ে এক প্রশ্নে মেজর জেনারেল মতিউর রহমান বলেন, সে (ছিনতাইকারী) প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল। তবে তার পরিবারের কোনো ফোন নম্বর বা তথ্য জানা যায়নি।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বিমানের বিজি-১৪৭ ফ্লাইটটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে পাইলট তা জরুরি অবতরণ করান। ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম থেকে দুবাই যাওয়ার কথা। কিন্তু উড্ডয়নের পরপরই ছিনতাই চেষ্টার ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে দ্রুতই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। আর রানওয়েতে অবস্থান করা প্লেনটি ঘিরে রাখে পুলিশ, র্যাব ও সেনা কমান্ডোর সদস্যরা।