1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ

  • আপডেট সময় রবিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

বিশেষ প্রতিনিধি ::
জেলার দশ উপজেলায় জোরালো প্রচারণা চালাচ্ছেন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। বিশেষ করে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। ভোটের সময় ঘনিয়ে আসায় ক্লান্তিহীন প্রচারণা চালাচ্ছেন সবাই। এদিকে কয়েকটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের মনোনীত কয়েকজন প্রার্থী বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করতে গিয়ে ঘাম ঝরাতে হচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপি স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও মোকাবেলা করতে গিয়ে বেগ পেতে হচ্ছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের।
দশটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩১ জন প্রার্থী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন। আওয়ামী লীগের মনোনীত দশজন প্রার্থীর মধ্যে আটটি উপজেলায়ই রয়েছে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী। তারা এখন ঘরের শত্রু বিভীষণ হয়ে দেখা দিয়েছেন। গ্রুপিং রাজনীতির কারণে তৃণমূলের কর্মীদের সহায়তা আদায় করে নিচ্ছেন কোন কোন বিদ্রোহী। এমনও শোনা যাচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে কোণঠাসা করতে বিদ্রোহীরা একজোট হয়ে একজন বিদ্রোহীকে গোপন সমর্থন দিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী খায়রুল হুদা চপলের সঙ্গে জোরালো প্রচারণা চালাচ্ছেন বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাড. মণীষ কান্তি দে মিন্টু। অপর বিদ্রোহী প্রার্থী মোবারক হোসেনের কোনো খবর নেই। তবে প্রতিদিন নেতাকর্মীদের নিয়ে জোরালো প্রচারণা চালিয়ে মাঠ গরম রেখেছেন খায়রুল হুদা চপল।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় আ.লীগ দলীয় প্রার্থী রফিকুল ইসলাম তালুকদার বিএনপি’র শক্তিশালী প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ তালুকদার ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সফর উদ্দিনকে মোকাবেলা করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এই দুই প্রার্থী মাঠ সরব রেখেছেন।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আশা করছেন এলাকাবাসী। আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী আবুল কালামের সঙ্গে মাঠে সরগরম প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক আহমেদ।
শাল্লায় বিদ্রোহী প্রার্থী অবনী মোহন দাসের জোরালো প্রচারণার সঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল্লাহিল চৌধুরী (আল আমিন চৌধুরী) তার সমর্থকদের নিয়ে মাঠ গরম রেখেছেন। এই উপজেলায় দুই প্রার্থীই কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ।
দিরাই উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রদীপ রায় তিন বিদ্রোহীকে মোকাবেলা করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। নেতাকর্মী ও সমর্থকরা বিভক্ত হয়ে কাজ করছেন। গ্রুপিং রাজনীতির কারণে গোপনে অনেক পরিকল্পনাও চলছে। এই উপজেলার তিন বিদ্রোহী কোনভাবেই ছাড় দিতে চাননা দলীয় প্রার্থীকে।
জামালগঞ্জে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইউসুফ আল আজাদের সঙ্গে তীব্র লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শামীম। শুরু থেকেই মাঠ গরম রেখেছেন তিনি। তার সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রচারণা দেখা যাচ্ছে। তবে পিছিয়ে নেই দলীয় প্রার্থী ইউসুফ আল আজাদও।
তাহিরপুরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করুণাসিন্ধু চৌধুরী বাবুলকে বিজয়ী করতে স্থানীয় সংসদ সদস্য নেতাকর্মীদের নিয়ে জরুরি সভা করেছেন। বাবুলও শুরু থেকেই জোরালো প্রচারণা চালাচ্ছেন। এই উপজেলায় বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিসুল হকও পিছিয়ে নেই। তিনিও ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন।
ধর্মপাশায় তিন বিদ্রোহীর মুখে বিপাকে পড়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম আহমদ মুরাদ। শোনা যাচ্ছে দলীয় প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে তলে তলে তিন বিদ্রোহী এক হয়েছেন। বিদ্রোহী বিলকিস ও ফখরুল ইসলাম অপর বিদ্রোহী মোজাম্মেল হোসেন রোকনের পক্ষে কাজ করছেন এমনটা শোনা যাচ্ছে। এটা অবগত হয়ে দলীয় প্রার্থী শামীম আহমদ মুরাদও আরো জোরালো প্রচারণা চালাচ্ছেন।
দোয়ারাবাজারে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. আব্দুর রহিমকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে ফরিদ আহমদ তারেক জোরালো প্রচারণা চালাচ্ছেন। এই উপজেলায় বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুনুর রশিদও জোরালো প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই দুইজনকে মোকাবেলা করে আ.লীগ প্রার্থীও মাঠ গরম করে রেখেছেন।
ছাতকে বিএনপি’র কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকলেও আ.লীগের শক্তিশালী বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুলকে কাবু করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন দলীয় প্রার্থী মো. ফজলুর রহমান। তবে সময় যত যাচ্ছে তার সমর্থন ও প্রচারণা বাড়ছে বলে জানা গেছে।
শাল্লা উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী অবনী মোহন দাস বলেন, আমি অতীতে জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের পাশে, মানুষের সুখে দুঃখে ছিলাম। তারা এ কারণে আমাকে খুব ভালোবাসেন। তাদের এই ভালোবাসাই আমার পাথেয়। আগামী ১০ মার্চ তারা ব্যালটে প্রমাণ দিবেন।
জামালগঞ্জে আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী ইউসুফ আল আজাদ বলেন, আমি শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। এই এলাকার মানুষ নৌকার সম্মান রাখবেন। আর আমি ৫বারের ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, একবারের উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও দুইবারের উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে জীবনের দুইভাগ সময়ই মানুষের সেবা করে কাটিয়েছি। তারা অবশ্যই আমাকে মূল্যায়ন করবেন।
এই উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম শামীম বলেন, ৪৫ বছর ধরে রাজনীতি করছি। মানুষের পাশে থেকে সেবা করছি। জনগণ আমাকে তাদের সেবা করার জন্য প্রার্থী করেছেন। আগামী ১০ মার্চ তারা সেটা প্রমাণ করবেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com