বিশেষ প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জের ৯ উপজেলায় আওয়ামী লীগের ২০জন চেয়ারম্যান বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে বেশিরভাগই দলীয় প্রার্থীকে ছাড় দিবেন না বলে জানিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার মনোনয়ন বাছাইয়ের শেষ দিনে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রতিক্রিয়ায় ছাড় না দেওয়া বিষয়ে কথা বলেছেন তাদের অনেকে। যে কারণে কয়েকটি উপজেলায় দলীয় প্রার্থীরা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, তাহিরপুর উপজেলা বাদে প্রতিটি উপজেলায়ই একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে আওয়ামী লীগে। বিশেষ করে সদর, ছাতক, শাল্লা, জামালগঞ্জ, দোয়ারাবাজার, ধর্মপাশা, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, দিরাইসহ ৯টিতে শক্তিশালী বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। বিদ্রোহীদের সবাই দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন এবং দলীয় মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তারা ছিটকে পড়ায় বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। তাদের অনেকের সঙ্গেই মনোনয়ন জমা ও বাছাইকালে দলীয় নেতাকর্মীও ছিলেন। যে কারণে তাদেরকে শক্তিশালী প্রার্থী বিবেচনা করছে তৃণমূল।
শাল্লা উপজেলা পরিষদে মনোনয়ন বঞ্চিত আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাডভোকেট অবনী মোহন দাশ বলেন, আমি তৃণমূলের প্রার্থী। অতীতেও আমি নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে কাজ করে নির্বাচিত হয়েছিলাম। এছাড়াও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গেও আমি সবসময় জনপ্রতিনিধি থাকা অবস্থায় পাশে ছিলাম। যে কারণে তারা এবারও আমাকে সাহস ও সমর্থন দিচ্ছেন।
জামালগঞ্জে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রেজাউল করিম শামীম বলেন, ৪০ বছর ধরে রাজনীতি করছি। দলের তৃণমূলের সবাই আমার সঙ্গে আছেন। তাছাড়া এলাকার সাধারণ মানুষও আমাকে প্রার্থী করেছেন। তারা সবাই আমাকে বিজয়ের লক্ষ্যে মনোনয়ন জমাদানের পর থেকেই মাঠেই কাজ করছেন। বিজয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।
সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাডভোকেট মণীষ কান্তি দে মিন্টু বলেন, আমি শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ করি। আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাসহ সাধারণ মানুষ আমার সঙ্গে আছেন।