মাহমুদুর রহমান তারেক ::
সুনামগঞ্জের ১০টি উপজেলায় আ.লীগের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে শনিবার। একদিন পেরুনোর আগেই ৮টি উপজেলায় ক্ষমতাসীন দলে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। চূড়ান্ত হওয়া প্রার্থীর বিরোধিতা করে এসব উপজেলায় দলীয় অনেক নেতা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা আ.লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল। তিনি বেশ কয়েকজন দলীয় প্রার্থীকে পেছনে ফেলে দলীয় মনোনয়ন পান। দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি অ্যাড. মণীষ কান্তি দে মিন্টু।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় আ.লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম তালুকদার। মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার বর্মণ, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সফর উদ্দিন ও উপজেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আবুল কালাম।
ছাতক উপজেলায় আ.লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ফজলুর রহমান। তার বিরোধিতা করে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, আওলাদ আলী রেজা।
দোয়ারাবাজারে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা ডা. আব্দুর রহিম। তার বিরোধিতা করে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা আ.লীগের একাংশের আহ্বায়ক ফরিদ আহমদ তারেক ও দেওয়ান তানভীর আশরাফি বাবু।
ধর্মপাশা উপজেলায় বিদ্রোহীদের ছড়াছড়ি। সেখানে দলীয় প্রার্থী শামীম আহমেদ মুরাদের বিরোধিতা করে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন তিন প্রার্থী। তারা হলেন- উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি আলমগীর কবির, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বিলকিস, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন রোকন।
দিরাই উপজেলায় দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন জেলা আ.লীগের সদস্য আলতাফ উদ্দিন, মনজুর আলম চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন রায়, বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার। এই উপজেলায় আ.লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়।
শাল্লা উপজেলায় স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি অবনী মোহন দাস। তিনি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। শাল্লায় দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আল আমিন চৌধুরী।
জামালগঞ্জ উপজেলায় দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আল আজাদ। তিনি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম শামীম। তিনি সাচনাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবীর ইমন বলেন, দল ইতিমধ্যে দশ উপজেলায় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। এর পরেও যারা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলবো। আমাদের চেষ্টা থাকবে সব উপজেলায় দলের একক প্রার্থী থাকুক এবং নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জয়লাভ করুক।