1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:০৫ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

হাওররক্ষা বাঁধ : তিন উপজেলায় পিআইসিতে দুদক’র মামলার আসামি

  • আপডেট সময় বুধবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৯

বিশেষ প্রতিনিধি ::
দিরাই, শাল্লা ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় হাওররক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিতে (পিআইসি) দুদকের মামলার একাধিক আসামিকে সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ২০১৭ সালের বাঁধের কাজে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় তারা এজাহারভুক্ত আসামি। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে হাওররক্ষা বাঁধ নির্মাণে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করা হয়। কাবিটা নীতিমালা-২০১৭ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের এক মাসেরও পরে পিআইসি গঠন করা হলেও কমিটি গঠনে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে। ২০১৭ সালে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল দুদক আইনের সেইসব আসামিদেরকে এবারের পিআইসিতে দায়িত্ব দেয়া হয়। এর মধ্যে শাল্লায় ৪জন, দিরাইয়ে ৩জন এবং দক্ষিণ সুনামগঞ্জের ১জন রয়েছেন।
চলতি পিআইসি তালিকা, দুদক আইনের মামলার এজাহার ও ২০১৭ সালের পিআইসির তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউপি সদস্য প্রদীপ ভৌমিক, তাড়ল ইউপির সদস্য লাল মিয়া, জগদল ইউনিয়নের কলিয়ারকাপনের মিজানুর রহমান চৌধুরী ছোবা মিয়া, শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউপি সদস্য বশির মিয়া ও আবুল মিয়া এবারের পিআইসিতে সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন। তারা সবাই ২০১৭ সালের দুদকের মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এছাড়া শাল্লা উপজেলার শিথিল মেম্বার, সুব্রত মেম্বার ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের আজির উদ্দিন দুদকের মামলার আসামি হওয়ার পরও পিআইসিতে আছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি এখানে কিছুদিন আগে এসেছি। ২০১৭ সালে কারা আসামি ছিল তা আমার জানা নেই। উপজেলা কমিটির সমন্বয়ে পিআইসি হয়েছে। কেউ কিছুতো বলে নাই।
শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-মুক্তাদির হোসেন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। জেনে বলতে হবে। আমার কাছে কেউ অভিযোগও করেনি। দেখি, কথা বলি তারপর বলতে পারব।
‘হাওর বাঁচাও-সুনামগঞ্জ বাঁচাও’ আন্দোলনের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ আছে দুদকের মামলার আসামিদের এবার পিআইসিতে স্থান দেয়া হয়েছে। দিরাই-শাল্লায় কমিটি গঠনে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে দ্রুত প্রশাসনের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
জেলা প্রশাসক ও জেলা কাবিটা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আব্দুল আহাদ মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, অভিযোগের ব্যাপারে ইতিমধ্যেই একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করছেন। যদি দুদকের আসামি কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে তাহলে ঐ কমিটি বাতিল করা হবে। বাঁধের কাজের ব্যাপারে অনিয়মকারীদের কোনো ছাড় নেই।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com