স্টাফ রিপোর্টার ::
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কে বিদ্যমান ৯টি সরু ও জরাজীর্ণ সেতুর স্থলে ৯টি আরসিসি/ পিসি সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের জন্য ১১১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নতুন সরকারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (এননেক) প্রথম সভায় এই বরাদ্দ অনুমোদন করা হয়।
একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ওই সভায় মোট ৮টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ জন্য মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৮৯৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। এর পুরোটাই বাস্তবায়ন হবে সরকারি অর্থায়নে।
একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের হার একটু কম হয়েছে। আমরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী থাকায় প্রকল্প পরিদর্শন করতে পারিনি। তবে এই বাস্তবায়নের হার অতীতের তুলনায় ভালো।
তিনি জানান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কে বিদ্যমান ৯টি সরু ও জরাজীর্ণ সেতুর স্থলে ৯টি আরসিসি/ পিসি সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের জন্য ১১১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে আজকের একনেক সভায়। এছাড়া পাস হওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- মৎস্য ও প্রাণিস¤পদ মন্ত্রণালয়ের ‘পিপিআর রোগ নির্মূল এবং ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ’ প্রকল্পের জন্য ৩৪৫ কোটি ৩ হাজার টাকা অনুমোদন। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ‘দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্যের অপ্রধান শস্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ কর্মসূচি’ প্রকল্পের জন্য ২০৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা অনুমোদন। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল জানুয়ারি ২০১৯ থেকে ডিসেম্বর ২০২২।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ‘বিদ্যমান ৭টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের উন্নয়ন ও নতুন ৬টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট স্থাপন’ প্রকল্প। এর জন্য ব্যয় হবে ৩৫৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ জানুয়ারি ২০১৯-ডিসেম্বর ২০২১ সাল।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের জাদুঘর ভবন সম্প্রসারণ এবং অন্যান্য ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্প। এরজন্য ১৪৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
এছাড়া সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘গোপালগঞ্জ বিসিক শিল্পনগরী সম্প্রসারণ (তৃতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্পের জন্য ১০২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্যায়ে মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘যাত্রাবাড়ী (মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার) ও ডেমরা (সুলতানা কামাল সেতু) মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের জন্য ৩৬৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জানুয়ারি ২০১৯ সাল থেকে ডিসেম্বর ২০২০ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
একই বিভাগের ‘নেত্রকোণা জেলার চল্লিশা-কুনিয়া-মেদনী-রাজুরবাজার সংযোগ মহাসড়ক নির্মাণ’ প্রকল্পের জন্য ২৫৭ কোটি ২১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুনের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।