শাল্লা প্রতিনিধি ::
শাল্লা উপজেলা সদরের ডুমরা গ্রামে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী রামকৃষ্ণ গোসাই’র আখড়ার পূজারী গুরুচরণ দাস মোহন্ত প্রায় ৬০শতাংশ দেবোত্তর সম্পত্তি বিক্রির পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী জেলা সাব-রেজিস্ট্রার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগে স্থানীয় সাংসদ ড. জয়া সেনগুপ্তা দান হস্তান্তর দলিল নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য সুপারিশও করেছেন। এদিকে, দেবোত্তর সম্পত্তি স্বীয় স্বার্থে বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন দিকে অর্থ লেনদেন করার অভিযোগও উঠছে পূজারি গুরুচরণ দাসের বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে ওই গ্রামের বাসিন্দা ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শাল্লা শাখার সদস্য সচিব অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস বলেন, এই আখড়াটির বয়স প্রায় ৪শ’ বছর। প্রতিষ্ঠানটির ভূ-সম্পত্তি রয়েছে ৯একর ৫২শতাংশ। বাইরের সম্পত্তি বাদে মূল আখড়ায়ই সম্পত্তি রয়েছে দেড় কোটি টাকা মূল্যের। কিন্তু বর্তমান পূজারি গুরুচরণ দাস মোহন্ত সম্পত্তি বিক্রির পাঁয়তারা করছেন। আখড়ার সমস্ত কাঠ জাতীয় এমনকি ফলন্ত গাছও কেটে ফেলেছেন। ২০০১ সাল থেকে আখড়ার সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনাদি তালুকদার বলেন, দেবোত্তর সম্পত্তি বিক্রি করা যাবে না এটি আখড়ার কর্তা নিজেও স্বীকার করেন। কিন্তু কৌশলে কিছু কিছু সম্পত্তি তার নিজের নামে নিয়ে গেছেন।
আখড়ার ভাড়াটিয়া অধীর তালুকদার বলেন, দেবোত্তর সম্পত্তি বিক্রি হয় না।
অন্যদিকে দলিল লেখক গোলাম নবী বলেন, আখড়ার কর্তা আমার কাছে এসেছেন। তবে সাব-রেজিস্ট্রার বলেছেন পাবলিক ফাংশন যেখানে জড়িত এটি রেজিস্ট্রারি না করাই ভালো। এটি রেজিস্ট্রারি হবে না বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, যদি কমিটির রেজুলেশন বিক্রির পক্ষে থাকে তাহলে বিক্রি হতে পারে।