1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

নিগার সুলতানা কেয়া : একজন অনন্যসাধারণ জয়িতা – ইকবাল কাগজী

  • আপডেট সময় রবিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৯

কণ্টকাকীর্ণ ও বন্ধুর সমাজবাস্তবতার পথ মাড়িয়ে একজন নিগার সুলতানা কেয়ার পক্ষে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হয়ে উঠা চাট্টিখানি কথা নয়। এ পর্যন্ত উঠে আসার একটা পথ চলা আছে। পথের বাঁকে বাঁকে প্রতিবন্ধকতা ডিঙানোর কষ্টও আছে।
দেশের প্রত্যন্ত একটি শহর সুনামগঞ্জ। শিক্ষাদীক্ষায় তেমন কোনও প্রাগ্রসর স্থান নয় যে, সেখানে নারীর ক্ষমতায়নের পথটি একবারে নিষ্কণ্টক। সব দিক থেকেই পশ্চাৎপদ এই সুনামগঞ্জে জন্ম একজন নিগার সুলতানা কেয়ার। তিনি স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে নিবিড় করে জড়িয়ে নিয়েছেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অনেকটা রক্তের সম্পর্কের মতো গভীর। তাঁর তো একজন সাধারণ গৃহিণী হওয়ার কথা ছিল, বিয়ে ও মাতৃত্বের প্রাতিষ্ঠানিকতায় আটকে থাকার ললাট লিখনই ছিল যে-নারীর জীবনের স্বাভাবিক নিয়তি, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার কথা ছিল না। কিংবা কথা ছিল না স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপজেলা গভর্ন্যান্স প্রজেক্টের ইউএনডিপি এবং রিজিওনাল ওয়ার্কসপ ওন ওম্যানস পার্টিসিপেশন ইন লোক্যাল গভর্ন্যান্স শীর্ষক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করতে থাইল্যান্ড সফর করার, যে-সফরটা সংঘটিত হয়েছিল ২০১৪ সালে। এমন রাজনীতির লোক হওয়ার বোধ করি একটি বাস্তব কারণ আছে। এক দিকের বিবেচনায় বলা যায়, রাজনীতির সঙ্গে তাঁর এই গাঁটছড়া বাঁধার ঘটনাটি ঘটেছে তাঁর বাবার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার বদৌলতেই। আসল কথা, তিনি একটি রাজনীতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন। তাঁর পিতা অ্যাডভোকেট আফতাব উদ্দিন একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ।
নিগার সুলতানা কেয়াদের গ্রামের বাড়ি বৃহত্তর রঙ্গারচর ইউনিয়নের হরিণাপাটি। সুনামগঞ্জ শহরের পূর্বদিকে ষোলঘর কলোনিরও পূর্বে কয়েকটি বাসার পর তাঁদের বাসা। এই বাসাটির একটি ছোট্ট ইতিহাস আছে। যে-ইতিহাসটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সেই একাত্তরে বাড়িটি ছিল একলা একটি বাড়ি। কলোনির পর আশপাশে খুব একটা বাড়িঘর ছিল না, বনহীন জায়গায় বনানী বলে কোনও পাড়া ছিল না। সেই ১৯৬৭ সনেই আফতাব উদ্দিন ওকালতি পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করেন এবং তখন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে পুরোপুরি সম্পৃক্ত এবং এখনও সম্পৃক্ত আছেন। তিনি ১৯৭০ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত সময়ে সুনামগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ ও থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ১৯৯৭ সন থেকে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে আছেন, সহ-সভাপতির আগে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক। রাজনীতি করার সুবাদে তাঁর বাসাটি হয়ে উঠেছিল শহরের সর্বস্তরের রাজনীতিবিদদের আড্ডার আখড়া। বিশেষ করে আড্ডা জমাটি হয়ে উঠে ’৭৫ পরবর্তী অন্যরকমভাবে বদলে যাওয়া রাজনীতিক পরিস্থিতির দিনগুলিতে। তখন সেখানে আলফাত উদ্দিন আহমদ (মোক্তার সাব), আব্দুর রইছ, কমরেড বরুণ রায় (প্রসূনকান্তি রায়), সৈয়দ দিলোয়ার হোসেন, নূরুল ইসলাম, কমরেড নজির হোসেন প্রমুখ ছোটবড় রাজনীতিবিদদের জমায়েত হতো, দল-মত নির্বিশেষে।
মুক্তিযুদ্ধের বিপন্ন সময়ে নিগার সুলতানা কেয়া জননী মেহের নিগারের কোলে, কয়েক মাসের শিশু। কেয়ার ভাষ্য মতে, ‘আমরা পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে আমি দ্বিতীয়। আমার দুই বোন বিবাহিত। ভাইদের মধ্যে একজন সপরিবারে আমেরিকা প্রবাসী ও অপরজন ব্যবসায়ী।’ তাঁর জন্ম মুক্তিযুদ্ধের আগে। বাঙালি জাতির জীবনের এই ক্রান্তিলগ্নে তিনি মায়ের কোলে করে এ গ্রাম থেকে ও গ্রামে ঘুরে বেড়িয়েছেন। বাবা তখন ক্যাম্পে ক্যাম্পে, মুক্তিযোদ্ধাদের দলে ভিড়ে যুদ্ধের ময়দানে সংগঠকের কাজে হন্যে হয়ে ফিরছেন। শহরের বাসা ও হরিনাপাটির বাড়ি কোনওটিই তখন তাঁদের জন্য নিরাপদ ছিল না, তাঁর বাবার রাজনীতিক আদর্শগত অবস্থানের কারণে।
স্বাধীনোত্তর কালে ১৯৭৫-য়ের রাজনীতিক পটপরিবর্তনের পর ১৯৭৬-য়ের মার্চে তাঁর বাবা গ্রেফতার হয়ে নির্যাতিত হন। দীর্ঘ ১৪ মাস ছিলেন জেলে। মুক্তি পান ১৯৭৭-য়ে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, কাদের বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ততা। তখন তাঁর শহরের বাসটি না-কি এই বাহিনীটির গোপন আখড়া হয়ে উঠেছিল। তৎকালের প্রতিক্রিয়াশীল সরকার তখন আলফাত উদ্দিন আহমদ (মোক্তার সাব), আব্দুজ জহুর, আব্দুর রইছ, দিলোয়ার হোসেন, খলিলুর রহমান, অধ্যাপক আব্দুল মতিন, আলী ইউনুস, আলী হোসেন, রসময় বাবু, প্রীতেশ টেইলারসহ প্রায় ৩০/৩৫ জনকে গ্রেফতার করে, সিলেট জেলে প্রেরণ করে। এখনও তিনি সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে আছেন। তাছাড়া তিনি সুনামগঞ্জ জজ কোর্টের পিপিও ছিলেন।
নিগার সুলতানা কেয়া ১৯৯২ সনে জানিগাঁও নিবাসী মনোওর আলী তালুকদারের (বর্তমানে প্রয়াত) একমাত্র পুত্র অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমানের সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। তিনি শিক্ষকতা শুরু করেন জানিগাঁও জমিরুন নূর উচ্চ বিদ্যালয়ে। তাঁর লেখাপড়া যা-কীছু এই সুনামগঞ্জ শহরেই। তিনি ১৯৮৬ সনে মাধ্যমিক (সরকারি সতীশচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে), ১৯৮৮ সনে উচ্চমাধ্যমিক ও ১৯৯০ সনে ¯œাতক করেছেন (দু’টিই সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ হতে)। তাঁদের দু’জন সন্তান আছেন। পুত্রটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে লোকপ্রশাসনে অধ্যয়নরত এবং কন্যাটি যথারীতি শ্বশুরালয়ে। বর্তমানে থাকেন সুনামগঞ্জ শহরের তেঘরিয়ার ঈদগাহ মহল্লায়। একজন সাধারণ গৃহিনী ও শিক্ষিকা থেকে ২০১৪ সনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী রূপে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আমাদের সমাজে নারী ক্ষমতায়নের সমাজবাস্তবতাটি বস্তুতপক্ষে এমন যে, দেশের সমগ্র নারী সমাজকে বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষা করলে সেখানে দৈন্য পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু একজন নিগার সুলতানা কেয়ার জীবনে নারীক্ষমতায়নের ঔজ্জ্বল্য চমক সৃষ্টি করে। যেমন তিনি অনেক সামাজিক-রাজনীতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। তার তালিকা বেশ দীর্ঘ। যেমন তিনি একজন প্রাক্তন শিক্ষক, ড্যাফডিল কিন্ডারগার্টেন সুনামগঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক, সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাবেক মহিলা পরিচালক। তাঁর জীবনবৃত্তান্ত থেকে জানা যায়, তিনি একাধারে মহিলা বিষয়ক সম্পাদকÑ জেলা আওয়ামী লীগ (সুনামগঞ্জ), পরিচালকÑ আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক (সিলেট রেঞ্জ), সহ-সভাপতিÑ বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ (সুনামগঞ্জ জেলা শাখা), আজীবন সদস্যÑ বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (সুনামগঞ্জ ইউনিট), আজীবন সদস্যÑ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি, সভাপতিÑ উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরাম (সদর উপজেলা সুনামগঞ্জ), সভাপতিÑ নারী উন্নয়ন সংস্থা (সুনামগঞ্জ), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকÑ বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (সুনামগঞ্জ জেলা শাখা), সদস্যÑ সুনামগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি, বেসরকারি কারা পরিদর্শকÑ সুনামগঞ্জ জেলা কারাগার, রাজনৈতিক ফেলোÑ ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল, মাস্টার ট্রেইনারÑ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সদস্যÑ শহর সমাজসেবা সমন্বয় পরিষদ (সুনামগঞ্জ), উপদেষ্টাম-লীর সদস্যÑ খেলাঘর আসর (সুনামগঞ্জ জেলা শাখা)।
আমাদের দেশে নারী ক্ষমতায়নের সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো শেখ হাসিনার চার বারের মতো প্রধানমন্ত্রিত্ব, উচ্চতায় সর্বোচ্চ, মধ্যযুগের সুলতানা রাজিয়ার উচ্চতার সমতাকে ডিঙিয়ে বোধ করি এককাঠি বাড়া। প্রধানমন্ত্রিত্ব কিংবা জাতীয় সংসদের স্পিকারত্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিক ও সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত আছেন নারীরা। এদিক থেকে ভাবলে নারীর ক্ষমতায়নের একরম উচ্চতাস্পর্শী সময়ে একজন নিগার সুলতানা কেয়ার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়ে পড়া খুব একটা বেশি কীছু অর্জন নয়। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে যে-দেশে একই গ্রামের হিন্দু যুবকের সঙ্গে কথা বলার অপরাধে ‘চল্লিশোর্ধ নারীকে ১০১টি দোররা মরার নির্দেশ দেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম সাহেব।’ নারীক্ষমতায়নের এরকম ফতোয়াগ্রস্ততায় আক্রান্ত ও পিছিয়ে থাকার পরিপ্রেক্ষিতকে বিবেচনায় নিলে নিগার সুলতানা কেয়ার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়ে পড়াটা কীছুতেই চাট্টিখানি কথা নয়।
রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করে নারীক্ষমতায়নের প্রপঞ্চটিকে দেখলে সুনামগঞ্জে নারী রাজনীতিকরা একেবারেই ছিলেন না এমন নয়। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলেও এখানে নারীরা রাজনীতি করেছেন। অনিমা দাম (অনিমা সিংহ) থেকে শুরু করে নিগার সুলতানা কেয়া পর্যন্ত অনেক স্বনামধন্য নারীর নাম করা যাবে। যেমন দিপালী চক্রবর্তী, রাবেয়া বারী, রফিকা রইছ চৌধুরী, শীলা রায়, রানী রায়, শাহানা রব্বানী প্রমুখ। তাঁদেরই উত্তরসূরি এই নিগার সুলতানা কেয়া। যদিও এখন রাজনীতির ধরণটাই খোল নলচে সমেত পাল্টে গেছে। তারপরও অবাক না হয়ে উপায় থাকে না। যে যা-ই বলুন, এই রাজনীতি করাটা একজন নারী কেয়ার আসলেই একটা ক্যারিসমা বটে, সে এক অনন্য সাফল্য।
তাঁর ক্যারিসমাটি কী? ক্যারিসমাটা তেমন কীছুই নয়, অথচ অনেক কীছুই। জনসম্পৃক্ত ও জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট কতোগুলো কাজ। কাজেকাজেই তাঁকে প্রতিনিয়ত গ্রামান্তরে সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে ছুটে বেড়াতে হয়। যেতে হয় সমাজের সর্বস্তরের অসহায় ও নির্যাতিত নারীদের কাছে, করতে হয় একের পর এক উঠান বৈঠক। আর সে-সব বৈঠকের কিংবা তাঁর নিত্যকরণীয় কাজের বিষয়বস্তু হলো : নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, শালিসের মাধ্যমে নারী নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগের নিষ্পত্তি, বাল্যবিবাহ বন্ধকরণ, যৌতুকবিরোধী প্রচারণা, মাদক-সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও প্রতিহতকরণ ইত্যাদি। এইসব কাজের পাশাপাশি আছে বিতরণ সংক্রান্ত কাজ। তিনি দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে স্কুলড্রেস, পথশিশুদের মধ্যে পোশাক ও শিক্ষা উপকরণ, স্কাউট ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বাদ্যযন্ত্র, গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে আর্থিক অনুদান, মা সমাবেশে শ্রেষ্ঠ মাকে পুরস্কার, স্কুলঘরে বৈদ্যুতিক পাখা ইত্যাদি বিতরণ করেন। এই সব বিতরণের কাজগুলো তিনি অবশ্যই নিজের উদ্যোগে করেন উপজেলা ও জেলা পরিষদের অর্থায়নে। তাছাড়া আছে বেকার, অসহায়, বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত নারীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সেলাই প্রশিক্ষণ দেওয়া ও সেলাই মেশিন বিতরণ। জন ও জনকল্যাণ সম্পৃক্ত এমনি আরও অনেক কাজে তিনি নিজেকে নিবেদিত করে রেখেছেন। যেমন : যুব উন্নয়ন, কৃষি অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও মহিলা সংস্থার মাধ্যমে অসহায় ও দরিদ্র মেয়েদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দেয়া, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে প্রত্যন্ত এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ধাত্রীদের মাধ্যমে গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ। কিংবা কোনও এনজিও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংস্কার, হতদরিদ্রদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ ও নিখরচায় চিকিৎসাসেবা প্রদান। এতো সব কাজের সঙ্গে নিজেকে নিয়োজিত রাখার ও নিবেদিত করার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৭ সনে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা অর্জন করেন। এমন একজন শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মান পেয়ে যাওয়ার কথা তো তাঁর ছিল না, তাঁর তো ‘বিয়ে ও মাতৃত্ব’-এর বৃত্তে বন্দি হয়ে থাকার কথা ছিল, সামগ্রিক বিবেচনায় সমাজের অন্য নারীরা যেমন এখনও আছেন।
পরিশেষে বলি, নিগার সুলতানা কেয়া, আসন্ন পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। সেই সঙ্গে প্রত্যাশী উপজেলার শ্রেণিস্তর নির্বিশেষে সকল মানুষের দোয়া ও আশীর্বাদের।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com