1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৪ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

দিরাই-শাল্লা : পিআইসি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ

  • আপডেট সময় শনিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৯

স্টাফ রিপোর্টার ::
দিরাই ও শাল্লা উপজেলার হাওর রক্ষা বাঁধের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কাবিটা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা কাবিটা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি বরাবরে অভিযোগ দাখিল করা হয়ছে। বৃহস্পতিবার দিরাই উপজেলার তাড়ল গ্রামের হোসেন চৌধুরী ও শাল্লা উপজেলার কাশিপুর গ্রামের কৃষক রুহুল আমিন ও দীপক চন্দ্র দাস এ অভিযোগ দাখিল করেন।
তাড়ল গ্রামের বাসিন্দা হোসেন চৌধুরী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, ‘আমি একজন প্রকৃত কৃষক। আমার কৃষি জমির পার্শ্ববর্তী ‘বরাম হাওর উপ-প্রকল্প’ কেজাউড়া হতে কাটাইখালি দক্ষিণপাড় পর্যন্ত বাঁধের ভাঙ্গা বন্ধকরণ ও বাঁধ নির্মাণের জন্য যে পিআইসি গঠন করা হয়েছে তা এলাকার কৃষকদের স্বার্থে নয়। শুধু ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য এ কমিটি প্রকৃত কৃষক ও বাঁধের পার্শ্ববর্তী জমি মালিকদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত না করে দূরবর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের ও অকৃষকদের সভাপতি, সদস্য সচিব করে পিআইসি গঠন করা হয়েছে। যা আইন পরিপন্থী এবং বাঁধের কাজ সুষ্ঠুভাবে না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’ তিনি এলাকার কৃষকদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে যাচাই-বাছাইক্রমে গঠিত কমিটি বাতিল করে জরুরিভিত্তিতে নীতিমালা অনুযায়ী পিআইসি গঠনের দাবি জানান।
আরেক অভিযোগকারী কাশিপুর গ্রামের রুহুল আমিন তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, ‘আমার রেকর্ডিয় জমির উপর দিয়ে কালিকোটা হাওর উপ-প্রকল্পের আওতায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারো বাঁধ নির্মিত হবে। গত ২ জানুয়ারি শাল্লা কাবিটা বাস্তবায়ন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় উপস্থিত সকল সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে প্রকৃত কৃষকদের নিয়ে পিআইসি গঠন করা হয়। সেদিন কালিকোটা হাওর উপ-প্রকল্পের আওতায় ৬২নং প্রকল্পে আমাকে সদস্য সচিব হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়। সে মোতাবেক আমি কাজের প্রস্তুতি নেই। কিছুদিন পর জানতে পারি সভার সিদ্ধান্তকৃত পিআইসিকে কার্যাদেশ না দিয়ে কালিকোটা হাওর উপ-প্রকল্পের আওতায় ৬২নং পিআইসিতে আমাকে বাদ দিয়ে এরশাদুল মিয়াকে উক্ত প্রকল্পের সদস্য সচিব করা হয়েছে। যার এ হাওরে কোনো জমি নেই।
অপরদিকে দীপক চন্দ্র দাস তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, ২ জানুয়ারির সভায় কালিকোটা হাওর উপ-প্রকল্পের আওতায় ৬৫নং পিআইসিতে আমাকে সভাপতি হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে আমাকে পিআইসি থেকে বাদ দিয়ে অন্য একজনকে সভাপতি করা হয়েছে।
অভিযোগকারীরা বলেন, শাল্লা কাবিটা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি এমপির দোহাই দিয়ে প্রতিদিন তার পছন্দমতো লোকদের দিয়ে পিআইসি গঠন করছেন। কাজ শুরুর করার নির্ধারিত সময় দেড়মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত শাল্লার পিআইসিকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়নি ফলে কাজ শুরু হচ্ছে না। সময় মত কাজ শুরু না হলে শেষ হবে কিভাবে? তারা বলেন, দুর্নীতি করার জন্য সময় ক্ষেপণ করা হচ্ছে। বৃষ্টি নামলেই কোন মতে কিছু মাটি ফেলে বাঁধের টাকা আত্মসাতের চক্রান্ত চলছে।
এ ব্যাপারে আটগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম আজাদ বলেন, আমরা ২ জানুয়ারি পিআইসি গঠন করেছি। এখন কাবিটা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি কাউকে না জানিয়ে পিআইসি পরিবর্তন করছেন। উপজেলা পরিষদের সভায় আমরা বিষয়টি উত্থাপন করেছি।
হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের শাল্লা উপজেলা কমিটির সভাপতি তরুণ কান্তি দাস বলেন, গণশুনানির মাধ্যমে পিআইসি গঠন ও দ্রুত বাঁধের কাজ শুরুর দাবিসহ তিন দফা দাবিতে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। শাল্লায় এখন পর্যন্ত পিআইসিকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়নি এটা দুঃখজনক। সময় মতো কাজ শুরু না হওয়ায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তারা আরেকটি ২০১৭ দেখতে চান না। তাই সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করবো কৃষকদের বাঁচাতে দ্রুত বাঁধের কাজ শুরু করুন, নতুবা আমরা কৃষকদের পক্ষে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
শাল্লা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, কোনো পিআইসি পরিবর্তন করা হয়নি। এমপি মহোদয়ের সাথে আলোচনা করেই পিআইসি গঠন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও জেলা কাবিটা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, এধরনের কোন অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com