1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০২ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

সুবাতাস বইতে শুরু করেছে

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৯

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ক্ষমতাসীন সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম বলে দিচ্ছে নবগঠিত এই সরকার আগের কোনও সরকারের মতো নয়। প্রথমেই পরিবর্তন ঘটেছে পুরনো অনেক মন্ত্রী নবগঠিত মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন, মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হয়েছে অপেক্ষাকৃত তরুণ ও নতুন সাংসদদেরকে নিয়ে এবং সেই সঙ্গে আছেন কয়েকজন ট্যাকনোক্র্যাট মন্ত্রী। এই রকম একটি পরিবর্তনকে নীতিগত কোনও মৌলিক পরিবর্তন বলা যায় না। কেন না পুরনোরা যা করতেন নতুনরাও তা করতে পারেন। এমনটা হতেই পারে।
ইতোমধ্যে স্বাধীনতা লাভের ৪৭ বছর পেরিয়ে গেছে এবং প্রকৃতপ্রস্তাবে দেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে কোনও মৌলিক পরিবর্তন সংঘটিত হয়েছে বলা যায় না। ’৭৫ পরবর্তীকালে রাজনীতির ক্ষেত্রে একটা তথাকথিত ‘মৌলিক পরিবর্তন’ আনয়ন করা হয়েছিল। আর আমরা জানি সে-পরিবর্তনটা ছিল দেশকে প্রগতির রাজপথ থেকে অধঃগতির খানাখন্দের পঙ্কিল পথে চালিত করা কিংবা বলা ভালো, চলতে বাধ্য করা। দুই দশকেরও অধিক কাল পেরিয়ে যাবার পর শেখ হাসিনার সরকার অনুন্নত দেশটিকে উন্নত দেশে পরিবর্তিত করার নীতি নির্ধারণ করেন এবং আর্থরাজনীতিক কার্যক্রম শুরু করেন এবং দেশটিকে কার্যত মধ্য-অয়ের দেশে পরিণত করেন, যদিও ধনী ও গরিবের মধ্যে ধনবৈষম্য বেড়েছে, কিন্তু সামগ্রিক অর্থে দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে এবং অন্তত খাদ্যনিরাপত্তা তৈরি হয়েছে সর্বত্র। স্মরণ করা কর্তব্য যে, আমাদের সংবিধানে এখনও সমাজতান্ত্রিক আর্থনীতিক বিকাশের পথ নীতিগতভাবে স্বীকৃত, তথাপিও পুঁজিবাদী পথে হলেও এটি (১৯৭৫ পরবর্তী পরিস্থিতিতে অধঃগতির খানাখন্দের পথচলা থেকে উন্নয়নের রাজপথে টেনে তোলা) একটি প্রত্যাসিত পরিবর্তন। এই প্রত্যাসিত পরিবর্তনের পরিসরে এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলের প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন এবং তিনি সেটা করেছেন নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি রক্ষার খাতিরে, তাঁর এই যুদ্ধে জনগণ তাঁর সঙ্গে আছেন এবং থাকবেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রীরা তাঁদের মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশে দুর্নীতিমুক্ত হয়ে কাজ করতে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে উৎসাহিত করছেন। দেখেশুনে বুঝা যাচ্ছে, তাঁরা দেশকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করতে বদ্ধপরিকর। মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে এই নীতি কার্যকর হলে ধারণা করা যায় যে, দেশের প্রশাসনিক ক্ষেত্রে একটি মৌলিক পরিবর্তন হতে চলেছে এবং সেই সঙ্গে আশা করা যায়, ’৭৫ পরবর্তীকালে রাজনীতির ক্ষেত্রে যে কথিত মৌলিক পরিবর্তন আনয়ন করা হয়েছিল, তার বিপরীতে আর একটি মৌলিক পরিবর্তন আসতে চলেছে দেশের ভেতর, অর্থাৎ সামগ্রিক অর্থে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে। আর আমারা দেশবাসী সে-পরিবর্তনটার একান্ত প্রত্যাসী, দীর্ঘ চার দশক ধরেই। মনে হচ্ছে, ইতোমধ্যেই সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। যেমন গতকালের দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদশিরোনাম ছিল : ‘স্বাস্থ্য খাতে সব জায়গায় শুদ্ধি অভিযান চলবে Ñস্বাস্থ্যমন্ত্রী’। এর পাশেই আর একটি চমক লাগানো শিরোনাম ‘হাওরাঞ্চলে মৎস্য গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে’। আমরা আশাবাদী। এবারের সরকার দেশকে উন্নয়নের নতুন পথে নিয়ে যাবেন। দেশের ভেতরে অন্যসব ক্ষেত্রের মতো হাওরাঞ্চলের উন্নয়নের ক্ষেত্রটিও আর অবহেলিত হবে না। দেশের ভেতরে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকের আক্রমণ প্রতিহত হলে, ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে আয়বৈষম্য কমিয়ে আনাও সহজতর হবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এমন হলে বাংলাদেশর উন্নয়নের গতিকে কেউ রুখতে পারবে না এবং বাংলাদেশে অন্তত একটা কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা করা যায়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com