1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৯ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

প্রাথমিক-ইবতেদায়ির বৃত্তির ফল মার্চের প্রথম সপ্তাহে

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৯

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা-২০১৮ এর ফলের ভিত্তিতে ৮২ হাজার ৫০০ ক্ষুদে শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে সরকার। তাদের মধ্যে ৩৩ হাজার শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি এবং সাড়ে ৪৯ হাজার শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হবে। আগামী ৩ বছর বৃত্তি সুবিধাভোগ করবে এসব মেধাবী শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত দেয়া হবে তিন বছরের বৃত্তি সুবিধা। আগামী মার্চে সমাপনী ও ইবতেদায়ী পাস শিক্ষার্থীদের বৃত্তির ফল প্রকাশ করা হবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) থেকে জানা গেছে।
ডিপিই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানায়, এ বছর পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে সাড়ে ৮২ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হবে। এর মধ্যে মেধা কোটায় (ট্যালেন্টপুল) বৃত্তি পাবে ৩৩ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী। সাধারণ কোটায় বৃত্তি পাবে সাড়ে ৪৯ হাজার। মেধা কোটায় বৃত্তিপ্রাপ্তরা ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি মাসে ৩০০ টাকা এবং আর সাধারণ কোটায় ২২৫ টাকা করে বৃত্তির অর্থ পাবে।
সাধারণ কোটায় ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ছয়টি করে বৃত্তি দেয়া হবে। এর মধ্যে তিনজন ছাত্রী ও তিনজন ছাত্র। এছাড়া ওয়ার্ড পর্যায়ে বৃত্তি প্রদানের পর অবশিষ্ট বৃত্তি হতে প্রতিটি উপজেলায় বা থানায় দুই জন ছাত্র ও দুই জন ছাত্রীকে বৃত্তি দেয়া হবে। প্রতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিটি বিভাগ হতে তিনটি করে ২৪টি সাধারণ বৃত্তি প্রদানের পর চারটি সাধারণ বৃত্তি সংরক্ষণ করা হবে।
জানা গেছে, ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়। পরের বছর ইবতেদায়ি শিক্ষার্থীদের সমাপনী পরীক্ষা নেয়া শুরু হয়। উভয় পরীক্ষা চালুর পর আলাদা বৃত্তি পরীক্ষার পরিবর্তে সমাপনীতে অংশ নেয়া ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা তালিকা করে বৃত্তির জন্য নির্বাচিত করা হয়।
জানতে চাইলে ডিপিই’র মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ঝরে পড়া রোধ, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি ও সুষম মেধা বিকাশের লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপজেলাভিত্তিক বৃত্তি দেয়া হয়। ফলে সব শিক্ষার্থী বৃত্তি পাওয়ার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে ও শিক্ষার মান বৃদ্ধি পায়।
তিনি জানান, আগে বিদ্যালয় থেকে প্রথম সারির কিছুসংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিত। বাকিরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পেত না বলে এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতো। এসব বিষয় বিবেচনা করেই বৃত্তি পরীক্ষা বাতিল করে মেধা ও কোটা পদ্ধতির বৃত্তি চালু করা হয়েছে। আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে ২০১৮ শিক্ষাবর্ষের সমাপনী ও ইবতেদায়ি পাস শিক্ষার্থীদের বৃত্তির ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার পিইসিতে পাস করেছে ৯৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর ইবতেদায়িতে এ হার ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। দুই পরীক্ষা মিলিয়ে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৬০ শতাংশ। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি পরীক্ষায় মোট ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ১২৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। গত ১৮ থেকে ২৬ নভেম্বর দেশজুড়ে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com