মাহমুদুর রহমান তারেক ::
সংসদ নির্বাচনের পর শুরু হয়ে গেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তোড়জোড়। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা যুবলীগের অর্ধ ডজন নেতা সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ইতোমধ্যে তৎপরতা শুরু করেছেন। দলীয় সমর্থন পেলে এই প্রার্থীরা নির্বাচনে জয়লাভে আশাবাদী।
সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সেন্টু। দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয় তিনি। সুনামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন ও সদস্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ও মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে তার তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে তিনি নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেছেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগও বৃদ্ধি করেছেন তরুণ এই নেতা। তার পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারণা শুরু করেছেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
জেলা যুবলীগের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার মনজুর আহমদ। তাহিরপুর উপজেলা থেকে তিনি নির্বাচন করা জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছেন। বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে পরিচিত তাহিরপুর থেকে দলীয় সমর্থন পেতে ইতিমধ্যে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন।
জেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য রনজিত চৌধুরী রাজন। ছাত্র রাজনীতি থেকে বেড়ে উঠা রনজিত শহরেও পরিচিত মুখ। বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে তিনি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবার তিনি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে তিনি প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন।
জেলা যুবলীগের সদস্য ও ধর্মপাশা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন রোকন। তিনি জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের ছোট ভাই মোজাম্মেল হোসেন রোকনের ভালো জনপ্রিয়তাও রয়েছে।
জেলা যুবলীগের সদস্য ও দিরাই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন রায়। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ.লীগ থেকে চেয়ারম্যান পদে অন্যতম মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি নির্বাচন করতে ইতিমধ্যে প্রচারণা শুরু করেছেন।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী রনজিত চৌধুরী রাজন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সঙ্গে জড়িত ছিলাম এবং আছি। বর্তমানে আমি ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আ.লীগের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামেই আমি রাজপথে থেকেছি। জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে প্রতিটি নির্বাচনেই দলের জন্য কাজ করেছি। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাকে আমি একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমি আশাবাদি দল আমাকে সমর্থন দিবে।
ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী মোজাম্মেল হোসেন রোকন বলেন, আমি জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলাম। জনগণের আস্থা আমি রেখেছি, সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থেকেছি। আমাকে দল সর্মথন দিলে জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদি।
জেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সেন্টু বলেন, দীর্ঘ দিন থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে আমি জড়িত। দলের আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে ছিলাম এবং আছি। তৃণমূল থেকে শুরু করে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে। আমি ইতিমধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে দিয়েছি, আশাবাদি দলের সমর্থন পাবো।