1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২১ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

আইনি জটিলতা ও দুর্নীতি থেকে মুক্তি চাই

  • আপডেট সময় বুধবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৯

গত ৬ জানুয়ারি দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদ শিরোনাম ছিল, “মিরপুর ও দশঘর ইউনিয়ন পরিষদ ॥ নির্বাচনের দাবিতে ফুঁসে উঠেছেন এলাকাবাসী” এবং ওই একই দিনের দৈনিক সুনামগঞ্জের খবরের একটি সংবাদ শিরোনাম ছিল, “শাল্লায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সেতু নির্মাণ ॥ প্রকল্প বাস্তবয়ন কর্মকর্তা অবরুদ্ধ”। সংবাদ দু’টিতেইে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা লক্ষ করা যায়। তারা সরকারি কাজে প্রচলিত অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। এই প্রবণতাকে সমাজের উপর সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠার স্বতঃস্ফূর্ত রাজনীতিক লক্ষণ হিসেবে যদি কেউ বিবেচনা করেন, তবে বোধ করি তাঁর বিবেচনাকে অযৌক্তিক বলে উড়িয়ে দেওয়ার মতো কোনও যুক্তির সন্ধান মেলে না। বিষয়টাকে এমনভাবে যে কেউ ভাবতে পারেন যে, জনগণ তাঁদের নিজেদের কাজ করার জন্য অথবা রাষ্ট্রপরিচালনার ক্ষেত্রে লোকনিয়োগ করেছেন এবং এই নিযুক্তরা ঠিকমতো কাজ করেন না, বুঝাই যাচ্ছে এবং পুরো পরিস্থিতিটাই বলে দিচ্ছে কাজে ফাঁকি কিংবা গাফিলতি জনগণ সহ্য করছেন, না পারতে এবং এখন আর সহ্য করতে তাঁরা কিছুতেই রাজি নন, প্রকারান্তরে প্রতিবাদী হয়ে উঠে কার্যকর তৎপরতা শুরু করেছেন।
সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়েছেন, ‘মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর ধরে মিরপুর ও দশঘর ইউনিয়নের নির্বাচন হচ্ছে না’ বলে এবং অন্যত্র সেতু নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের প্রতিবাদে। এই প্রতিবাদ কার্যত সেতু নির্মাণে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে ধাওয়া করা ও অবরুদ্ধ করা পর্যন্ত গড়ায় এবং বাস্তবে যা প্রতিপন্ন হয়েছে তা হলো : জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ এই দু’পক্ষের যৌথ প্রযতেœ প্রকারান্তরে ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আপাতত জনগণের প্রতিবাদী তৎপরতার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। সাধারণ মানুষ এই প্রকল্প কর্মকর্তার দুর্নীতিকে চিহ্নিত করে সে-দুর্নীতি প্রতিরোধের অভিপ্রায়ে প্রকল্প কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করেছেন, তৎপ্রেক্ষিতে সেতুনির্মাণে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারে বাধা দিয়েছেন এবং সে বাধা দেওয়ার বিপরীতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গ্রামবাসীকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করেছেন এবং সে হুমকির জবাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে গ্রামবাসী ধাওয়া করে অবরুদ্ধ করেছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জনগণের খপ্পর থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছেন এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কোনও দোষ কিংবা অপরাধ চিহ্নিত করতে পারছেন না এবং কোনও অবরুদ্ধের ঘটনা ঘটেনি বলে সংবাদমাধ্যমকে জ্ঞাপন করেছেন। অন্যদিকে ১৭ বছর ধরে স্থানীয় প্রশাসনের কার্যক্রমকে মামলার দীর্ঘসূত্রতার বেড়াজালে ফেলে সমাজে জনগণের গণতন্ত্রায়ণের প্রক্রিয়াকে প্রকারান্তরে প্রতিরোধ করে রাখা হয়েছে। প্রথমত মামলার জটিলতা কিংবা দ্বিতীয়ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জনরোষ থেকে রক্ষা এই দু’টি কর্মক্রিয়ার শ্রেণিচরিত্র, উৎস, উদ্দেশ্য ও আদর্শ একটাই, সাধারণ মানুষের অধিকারকে ক্ষুণœ করা কিংবা সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নের প্রচেষ্টাকে বিনাশ করা।
এই পরিপ্রেক্ষিতে আপাতত আমরা কেবল আশা করতে পারি যে, যথাযথ কর্তৃপক্ষ মামলার জটিলতা থেকে ইউনিয়ন দু’টিকে উদ্ধার এবং সেতু নির্মাণে অবলম্বিত দুর্নীতি বন্ধের কার্যকর ব্যবস্থা অচিরেই করবে। বাল বাহুল্য, মানুষ এখন আইনি জটিলতা ও দুর্নীতি থেকে মুক্তি চায়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com