1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৭ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

জগদল হাসপাতালটি অচিরেই চালু করুন

  • আপডেট সময় শনিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৯

দেশি-বিদেশি সকল পর্যবেক্ষক-সমীক্ষকদের পক্ষ থেকেই ইতোমধ্যে স্বীকার করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে পা রাখতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি গত এক দশকে বাংলাদেশে যে-উন্নয়ন হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিবেচনায় সে-উন্নয়নকে ‘উন্নয়নের আদর্শ’ রূপে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর বিশ্বসভায় এই সম্মান অর্জনের কর্মযজ্ঞের প্রধান পুরোহিত হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
তাঁর আগের ক্ষমতাসীনরা প্রকৃতপ্রস্তাবে তাঁদের আর্থরাজনীতিক কর্মপ্রয়াসের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে, তাঁরা দেশেকে পশ্চাৎপদ রাখার কর্মপ্রয়াসই চালিয়েছেন, তাঁদের রাজনীতিক কর্মপ্রয়াস কোনও বিচারেই উন্নয়নের নয়। বলতে খারাপ লাগে, তবু সত্যের খাতিরে বলতে হয়, তাঁদের সময়ে উন্নয়ন হয়েছে দুর্নীতির, মৌলবাদী জঙ্গিত্বের, দেশকে পিছিয়ে রাখার রাজনীতির ও অর্থনীতির।
এখন চারদিকে উন্নয়নের যে জোয়ার পরিলক্ষিত হয়, বলাবাহুল্য, সেটা কারও দয়া-দাক্ষিণ্যে নয় কিংবা কারও বদৌলতে নয়, বরং শত প্রতিবন্ধকতার পাহাড় ডিঙিয়ে এই সফলতা অর্জিত হয়েছে। আমরা জানি বর্তমানের উন্নয়নের পুরোহিত শেখ হাসিনাকে ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলা করে হত্যা করার প্রয়াস চালানো হয়েছিল। বর্তমানে পল্লবিত রাজনীতিক প্রপঞ্চ, যাকে বলে, রাজনীতিক বাস্তবতা আজ পরিষ্কার বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, বাংলাদেশের উন্নয়নের চালিকাশক্তিকে হত্যা করার অশুভ একটি পরিকল্পনা ছিল সে গ্রেনেড হামলাটি। সে ষড়যন্ত্র এখনও জায়মান আছে দেশের আনাচে কানাচে, অন্যরকমভাবে। উন্নয়নের চালিকাশক্তিকে হত্যায় ব্যর্থ হয়ে তারা কার্যত মাঠপর্যায়ে উন্নয়নকে স্থবির করে দেওয়ার কার্যক্রম পরিচালিত করছে সুকৌশলে। সমাজের স্তরে স্তরে অনুপ্রবিষ্ট ও ঘাপটি মেরে বসে থাকা শত্রুরা উন্নয়নকে থামিয়ে দিতে এখনও তৎপর আছে। এমন উন্নয়নবিরোধিতার একটি উদাহরণ হতে পারে, ‘উদ্বোধনের ৬ বছরেও চালু হয়নি জগদল হাসপাতাল’। গতকালের দৈনিক সুনামকণ্ঠের এটি একটি সংবাদশিরোনাম। এখানে উন্নয়নবিরোধী যে-কাজটি সম্পন্ন হয়েছে, সেটা হলো, ৬ বছর আগে ৪ কোটি টাকা ব্যয় করে ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল তৈরি করে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না এবং প্রকারান্তরে মূল্যবান চিকিৎসা উপকরণ নষ্ট হওয়াসহ, বলতে গেলে, পুরো হাসপাতাল ভবনটিই জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে জাতীয় অপচয়ের স্ফীতি ঘটাচ্ছে। প্রতিবেদনে এরকম সংবাদই পরিবেশন করা হয়েছে। আসলে ১৯৭৫-য়ের রাজনীতিক পটপরিবর্তনের পর দেশের উন্নয়নের পরিপর্তে উন্নয়নের নামে এইরূপ অপচয়ের সংস্কৃতিকেই কার্যত লালন-পালন ও প্রশ্রয় দিয়ে আসা হয়েছে। ২০১৩ সালে উদ্বোধনকৃত জগদল হাসপাতালটি সেই অপপ্রয়াসেরই শিকার। মহাজোট সরকারকে এই উন্নয়নবিরোধী অপসংস্কৃতিচর্চার খপ্পর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাসের ভাষ্যমতে জনবল নিয়োগ করার ক্ষমতাধর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্লিপ্ততা হাসপাতাল চালু না হওয়ার জন্য দায়ি। বার বার লোকবল নিয়োগের আবেদন করেও হাসপাতালটিতে লোকবল নিয়োগ হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই তাই সাধারণ মানুষের মনে এই প্রশ্ন জাগছে যে, তা হলে এতো টাকা ব্যয় করে কেন হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করা হলো? ভবন ও যন্ত্রপাতি তো ব্যবহার না করার কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ মনে করেন, এই নির্লিপ্ততার চিকিৎসা করতে হবে। ১৯৭৫-য়ের পটপরিবর্তনের পর উন্নয়নবিরোধীনীতির অধীনে জনবল নিয়োগ আটকে রেখে উন্নয়নের চাকার গতি থামিয়ে দেওয়ার কৌশল প্রয়োগকারীদের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিতে হবে। অর্থাৎ অচিরেই জগদল হাসপাতালটিকে চালু করার সামগ্রিক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় শেখ হাসিনা উন্নয়নের গতি থেমে যাবে। সেটা কীছুতেই হতে পারে না এবং কারও কাম্য নয়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com