একজন মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান দৈনিক সুনামকণ্ঠ পত্রিকায় মন্তব্য করেছেন, ‘হাওরের কৃষিতে গত বছর আমাদের বড় সাফল্য ছিল। আগামী নতুন বছরে সেই ধারাবাহিকতার প্রত্যাশা করি। তবে আমাদের রাজনীতিবিদরা আমাদের একটি বছর সম্প্রীতি উপহার দেওয়ায় আমরা স্বস্তিতে ছিলাম। তাদের কাছ থেকে এটাই কামনা করি আমরা।’ এমন সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতির আবহের মধ্যে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক এটাই দেশের সকল শ্রেণিস্তরের মানুষের সঙ্গে আমাদেরও কাম্য।
গত বছরের শেষ দিনের আগের দিনে (৩০ ডিসেম্বর ২০১৮) সংঘাতমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় সংসদের নির্বাচন হয়ে গেলো এবং আওয়ামী লীগ ২৯৯ আসনের মধ্যে ২৫৯টি আসনে জিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।
নির্বাচনোত্তর জাতীয় প্রত্যাশার রূপরেখা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। দৈনিক সুনামকণ্ঠও তার ব্যতিক্রম নয়। সেখানে সংঘাতমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বয়ান তোলে ধরে আগামী বছরটিও সংঘাতমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ হওয়ার প্রত্যাশা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আশা প্রকাশ করা হয়েছে, আগামী দিনে এবারের মতোই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। এমনটাই স্বাভাবিক। এই স্বাভাবিক প্রত্যাশাই সমগ্র জাতির আকাক্সক্ষা।
সমগ্র জাতির আকাক্সক্ষার সঙ্গে একান্ত সংশ্লিষ্ট হাওরবাসীর একটি আকাক্সক্ষা হলো হাওরের সার্বিক উন্নয়ন। পত্রিকায় প্রকাশ, ‘২০১৮ সাল হাওরের কৃষিতে সুনামগঞ্জবাসীর জন্য একটি আলোকিত বছর। ওই বছর স্বাধীনতার পরে প্রথম বারের মতো সম্পূর্ণ ফসল গোলায় তোলতে পেরেছেন হাওরের প্রায় তিন লাখ পরিবার।’ হাওরবাসীর প্রত্যাশা আগামী বছরগুলোতে এইরকম যেনো ‘সম্পূর্ণ ফসল’ গোলায় তোলতে পারেন কৃষকরা। এর সঙ্গে ময়মনসিংহ হয়ে ঢাকা সুনামগঞ্জ সড়ক ও রেলপথের প্রতিষ্ঠা, নদীর নাব্যতা ফেরানো এই দু’টি দাবি তো আছেই। এছাড়া মেডিকেল কলেজ, নার্সিং কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, টেক্সটাইল কলেজ বাস্তবায়ন এবং গ্রামাঞ্চলের শতভাগ বিদ্যুতায়নের প্রত্যাশা করছেন সুনামগঞ্জের মানুষেরা।
আমরা জানি, আগামী দিনে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ী রাজনীতিক দলকেও উন্নয়ন অব্যাহত রাখার কাজে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হবে এবং আঘাতটা দু’দিক থেকে, অর্থাৎ দলের ভেতর ও বাইরে থেকেই আসতে পারে। শেখ হাসিনা সরকারকে এই প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলার জন্য সদাপ্রস্তুত থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের কর্মযজ্ঞের পুরোহিত শেখ হাসিনাকে হতে হবে আরও সাহসী ও সুকৌশলী। সোনার বাংলা বিনির্মাণের কর্মযজ্ঞ চলছে চলবে।