রেজাউল করিম ::
যক্ষ্মা একটি বায়ুবাহিত ছোঁয়াছে রোগ। একজনের দেহ থেকে অন্য জনের দেহে ছড়ায়। অনেক আগে বলা হতো “যক্ষ্মা হলে রক্ষা নাই- বর্তমানে এই কথার আর ভিত্তি নাই”। নিয়মিত ওষুধ সেবন করলে ভয়াবহ এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যক্ষ্মারোগ সনাক্তকরণ এবং যক্ষ্মারোগ প্রতিরোধে দেশজুড়ে কাজ করছে নাটাব। সুনামগঞ্জে নাটাব’র কার্যক্রম ব্যাপকভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। বিভিন্ন টার্গেট গ্রুপদের নিয়ে নাটাব জেলা পর্যায়ে মতবিনিময় সভা করে সাধারণ মানুষের মধ্যে সাড়া জাগিয়ে তুলছে। রোগী সনাক্ত করণসহ চিকিৎসা সেবায় অনেকেই এগিয়ে আসছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় যক্ষ্মারোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে জেলা পর্যায়ে মতবিনিময় সভা করেছে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) সুনামগঞ্জ জেলা শাখা। রোববার সকালে স্থানীয় শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগার পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এবারের টার্গেট গ্রুপ ছিল অবসরপ্রাপ্ত বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতি সুনামগঞ্জ জেলা শাখা। নাটাব জেলা শাখার সভাপতি শিক্ষাবিদ ধূর্জটি কুমার বসুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নির্মল ভট্রাচার্য’র পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাশ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. সৈয়দ মোনওয়ার আলী। আরো বক্তব্য রাখেন জেলা ব্র্যাক ম্যানেজার অমর চন্দ্র সরকার। তিনি জানান সমগ্র জেলায় যক্ষ্মারোগী রয়েছেন ২ হাজার ৭৮৬ জন এবং এমডিআর-৩১ জন। যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মো. হাবিবুর রহমান চৌধুরী, রবীন্দ্র কুমার দাস, মো.ফুরকান উদ্দিন, মো.ছেরাগ আলী, মো.আরব আলী প্রমুখ। মতবিনিময় সভার সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন নাটাব’র শোভন চৌধুরী।