জেলা ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি বাদল সরকারের সভাপতিত্বে ও জেলা ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির মিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রজত বিশ্বাস ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স’ মিল শ্রমিক সংঘ সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন। কর্মীসভার আরও বক্তব্য রাখেন জেলা হোটেল রেস্টুরেন্ট মিস্টি বেকারি শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি মো. লিল মিয়া, জেলা বারকি শ্রমিক সংঘ এর সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কাদির, স’মিল শ্রমিক সংঘ জেলা কমিটির আহ্বায়ক মো. সিরাজ মিয়া ও দিরাই উপজেলা কমিটির সভাপতি রিপন ভট্টাচার্য, হকার্স সংঘের নেতা বিনন্দ কর, ক্ষৌরকার সংঘের রতীন্দ্র শীল, হোটেল শ্রমিকনেতা মো. সুজন মিয়া প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন,ভাটির জনপদ সুনামগঞ্জ জেলার হাওর অঞ্চলের সাধারণ খেটে-খাওয়া দিন মজুরদের কাজের অন্যতম প্রধান ভরসা ধোপাজান এবং যাদুকাটা নদীর “বালি মিশ্রিত পাথর” মহাল। জেলার প্রায় লক্ষাধিক কৃষক পরিবার ও বারকি শ্রমিকগণ হাতের সাহায্যে পরিবেশবান্ধব উপায়ে বালু-পাথর উত্তোলন করে যুগ যুগ ধরে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। কিন্তু বালি/ পাথর খেকো একটি চক্র আইনের তোয়াক্কা না করে ও উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে অবৈধ বোমা, ড্রেজার/খনন যন্ত্রের মাধ্যমে ১০০/২০০ ফুট গভীরতা সৃষ্টি করে বালি-পাথর উত্তোলন করার ফলে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে হাট বাজার স্থাপনা ফসলি জমি। অবৈধ বোমা, ড্রেজার/খনন যন্ত্রের তা-বের কারণে বর্তমানে কর্মহীন হয়ে অর্ধাহারে অনাহরে দিনতিপাত করছে হাজার হাজার বারকি শ্রমিক। এমতবস্থায় সুনামজঞ্জ জেলাধীন ধোপাজন চলতি নদী ও যাদুকাটা নদী থেকে অবৈধ বোমা, ড্রেজার/খনন ও শ্যালো যন্ত্রের উচ্ছেদ করে পরিবেশ বান্ধব উপায়ে হাতের সাহায্যে বালি/পাথর উত্তোলন করার সুযোগ করে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী।
সভায় জেলার হাজার হাজার বারকি শ্রমিকদের জীবন ও জীকিকার নিশ্চয়তার প্রয়োজনে ধোপাজান চলতি নদী ও যাদুকাটা নদী থেকে অবৈধ বোমা-ড্রেজার-শ্যালো মেশিন উচ্ছেধ করার দাবি জানান বক্তারা। -সংবাদ বিজ্ঞপ্তি