বিশেষ প্রতিনিধি::
সম্পদ সম্বাবনায় বৃহত্তম নির্বাচনী এলাকা সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ও ধর্মপাশা) আসনটি মহাজোটের শরিক দল যুক্তফ্রন্টকে ছাড় দিচ্ছেনা আ.লীগ। ফলে এই আসনে আ.লীগের মনোনয়ন পাওয়া মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপিই নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন। বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে সদ্য বিকল্প ধারায় যোগ দেওয়া ডা. রফিক চৌধুরী মনোনয়ন পাচ্ছেন না বলে জানা গেছে। শুক্রবার সকালে আ.লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনায় যুক্তফ্রন্টসহ শরিক দলগুলোর মধ্যে চূড়ান্ত আসন বণ্ঠন করে দেওয়া হয়েছে। এতে যুক্তফ্রন্টকে তিনটি আসন দেওয়া হয়েছে। এদিকে এই খবরে উচ্ছ্বসিত এখন সুনামগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগের শংসয়ে থাকা নেতাকর্মীরা। তারা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে প্রচারণা শুরু করেছেন। গতকাল শুক্রবারও মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ধর্মপাশা ও মধ্যনগরে একাধিক সভা করেছেন। এসব সভায় তাকে অভিনন্দন জানিয়ে আবারও নৌকাকে বিজয়ী করার অঙ্গিকার করেন নেতাকর্মীরা।
সুনামগঞ্জ-১ আসনে দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগ জনপ্রিয়তা ও মাঠের বিবেচনায় মনোনয়ন দেয় বর্তমান সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতনকে। এই আসনের একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থীদের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে তিনি তৃতীয় বারের মতো নৌকা প্রতীক নিয়ে আসলেও তার আসনে বাগড়া দিতে যুক্তফ্রন্টে যোগ দিয়ে আসন দাবি করেন ডা. রফিক চৌধুরী। নির্বাচনী এলাকায় এসে বিকল্প ধারার মনোনয়ন পেয়ে তিনি প্রচারণাও শুরু করেন নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার। বিকল্পধারা আওয়ামী লীগের কাছে ৫টি আসন দাবি করায় স্থানীয় নেতাকর্মীরা দলীয় প্রার্থী বহাল নিয়ে শঙ্কায় পড়েন। এ ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে ওঠে তৃণমূল আওয়ামী লীগ। তারা মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের পক্ষে প্রতিটি এলাকায় মিছিল সমাবেশ করেন। নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সমাবেশে উল্লেখ করেন গত ১০ বছর ধরে অবহেলিত এই এলাকার উন্নয়নে নিরলস কাজ করছেন মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। সেতু, কালভার্ট, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা চালুসহ নানা কারণে তিনি একজন শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত। বিশেষ করে তৃণমূল আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে নেতাকর্মীদের সহায়তায় তিনি নিজ আসনে ৩৭টি দলীয় নিজস্ব কার্যালয় নির্মাণ করে দিয়েছেন। নিজস্ব এসব কার্যালয় গুলো এখন নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখরিত।
শুক্রবার সকালে ধানম-িস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যুক্তফ্রন্টকে ৫টি আসনের বদলে তিনটি আসন চূড়ান্ত করায় এই জল্পনার অবসান ঘটেছে। ডা. রফিক চৌধুরীর মহাজোটের মনোনয়ন পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানান স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। তার সমর্থকরাও চুপসে গেছেন। বারবার তিনি দলবদল করায় নেতাকর্মীরাও হতাশ।
সাবেক ছাত্র নেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, উন্নয়নের রূপকার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনকে মাইনাস করে এই এলাকাকে উন্নয়ন বঞ্চিত করতে নানা চেষ্টা করেছে একটি উন্নয়নবিরোধী চক্র। তারা এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে বিএনপি জামায়াত জোটেরও সহায়তা নেয়। কিন্তু জননেত্রী তার বিশ্বস্থ কর্মী হিসেবে মোয়াজ্জেম হোসেন রতনকে মনোনয়ন দিয়ে আমাদের উন্নয়নের ধারাবাহিকতার দায়িত্ব দিয়েছেন। তাকে বিজয়ী করতে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ।