শহীদ নুর আহমেদ ::
যথাযোগ্য মর্যাদায় সুনামগঞ্জ মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে ৬ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ মুক্ত দিবস পালন করেছে জেলা প্রশান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডসহ বিভিন্ন সামজিক সংগঠন। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেষ্কে এর সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভা যাত্রায় মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে পাকিস্তানী সৈন্যদের আত্মসমর্পণ ও রাজাকারদের ফাঁসিতে ঝুলানোর দৃশ্যায়ন ও গানে গানে মুক্তি যুদ্ধে স্মৃতিচারণ করা হয়। শোভাযাত্রায় মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনসহ জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। শোভাযাত্রাটি শহরে বিভিন্ন সড়ক প্রশিক্ষণ শেষে শহীদ আবুল হোসেন মিলনায়তনে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে ও সহকারি কমিশনার হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান, পৌর মেয়র নাদের বখত, সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাস, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো. এমরান হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন নাহার রুমা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার হাজী নুরুল মোমেন, সাবেক ডেপুুটি কমান্ডার আবু সুফিয়ান,বীর মুক্তিযোদ্ধা মুতিউর রহমান, যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাসিম।
এসময় বক্তরা বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জীবনের মায়া ত্যাগ করে তারা ৭১ এ যুদ্ধে অংশ নেন। যাদের ত্যাগের বিনিময় আজকের বাংলাদেশ। তাই তাদের অবদান কখনও বাঙ্গালী জাতি ভুলবে না।
বক্তরা বলেন, সুনামগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধাদের নৈপুণ্যে পাকিস্তানী হানাদাররা ৬ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ শহর ছাড়তে বাধ্য হয়। এই দিন মুক্তিযোদ্ধারা শহর দখল করে জয় বাংলাল স্লোগান তুলেন। সেদিন সাধারণ মানুষ রাস্তায় এসে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাগত জানায়। এদিকে দিবসটি উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা বের করে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড।