1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৬ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

শাল্লায় স্বেচ্ছাশ্রমে হাওরে রাস্তা নির্মাণ

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

শাল্লা প্রতিনিধি ::
হাওরে শুরু হয়েছে বোরো মৌসুম। তাই রাস্তা মেরামতের জন্য স্বেচ্ছাশ্রমে সাধারণ মানুষরা হাওরে নেমে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউপিস্থ আনন্দপুর গ্রামবাসীর উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে ছায়ার হাওরের রাস্তা মেরামতের জন্য সকাল থেকে দিনব্যাপী ৯টি ভাগে বিভক্ত হয়ে শতশত কৃষককে রাস্তায় কাজ করতে দেখাযায়। প্রায় ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার হাওরের রাস্তা মেরামতের কাজে নেমে পড়ে তারা। বোরো ফসল উৎপাদনে কৃষকদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্যই গ্রামবাসির এমন সম্মিলিত স্বেচ্ছাশ্রমের উদ্যোগ বলে জানা যায়।
এসময় সাধারণ মানুুষের সাথে কথা বললে তারা জানায়, হাওরে ডুবন্ত পাকা রাস্তা নির্মাণ হলে কৃষকদের আর দুর্ভোগ থাকবে না। অন্যথায় হাওর থেকে ধান গোলায় তোলা সম্ভব নয় বলে জানান গ্রামের শতশত কৃষক। তাদের দাবি হাওরের এসব বেহাল রাস্তা ডুবন্ত পাকাকরণ হোক। এদাবি নিয়েই রাস্তা সংস্কার কাজে নামলেন শতশত কৃষক।
সরেজমিনে দেখাযায়, এসব গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা কোনোরূপ সংস্কার না হওয়ায় হাওরের বোরো ধান বাড়িতে আনার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে এসব বেহাল রাস্তা। এভাবেই হাওরের রাস্তাগুলো দিনে দিনে ছোট হয়ে পড়ছে আর কাদামাটির গর্তে বাড়ছে জনদুর্ভোগ। কালবৈখাশী বৃষ্টির পানি জমে এবং এসব রাস্তায় দিয়ে ট্রাক্টরের চলাচলে বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে হাওর থেকে বোরো ধান বাড়িতে আনতে পরিশ্রম করতে হয় কৃষকদের। শুধু এখানেই শেষ নয়, প্রতি বস্তা ধান বাড়িতে আনার খরচ হয় আরেক বস্তা ধানের। এমন কথাই বলেন গ্রামের সাধারণ কৃষকরা। এভাবে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বোরো ধান আবাদে অনিহা প্রকাশ করছেন অনেকেই। এরমধ্যে অকাল বন্যা আর হাওরের রাস্তার প্রতি অবহেলা ‘মরার উপর খরার ঘা’ দাঁড়িয়েছে কৃষকদের উপর। এছাড়াও আনন্দপুর গ্রাম হতে মামুদনগর গ্রাম পর্যন্ত ছায়ার হাওরের মধ্যদিয়ে একটি রাস্তা রয়েছে। যা চলাচলের অনুপযোগী। এ রাস্তা দিয়েই আনন্দপুরসহ আশপাশের গ্রামের হাজারো মানুষের মামুদনগর যেতে হয়। এই রাস্তাটিও ডুবন্ত পাকাকরণের দাবি এলাকাবাসীর।
ওয়ার্ড সদস্য সুব্রত সরকার বলেন, ছায়ার হাওরে উড়া কোদাল নিয়ে বাউন্যা, তেইল্যা, উদা, কচ্মা, কেচুইরা, খালেরভাটি, বড়চার, জালাচারে গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা মেরামতের কাজে নমে পড়েছেন। তিনি আরো বলেন, দিরাই-শাল্লা রাস্তা হতে মামুদনগর পর্যন্ত আরসিসি রাস্তা নির্মাণের দাবি গ্রামবাসীর। পাশাপাশি হাওরের এসব রাস্তাকে পাকাকরণ না করলে কৃষকরা বোরো ফসল উৎপানে উৎসাহ হারাবেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com