1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:২৪ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালে লোকবল বাড়নো হোক

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

‘জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট’ একটি সংবাদশিরোনাম। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদপ্রতিবেদনের এ ধরণের শিরোনাম আসলে ‘চিকিৎসক সংকট’ নয়, প্রকৃতপ্রস্তাবে দেশে ‘চিকিৎসা সংকট’কেই প্রকটিত করে। সংবাদ বিবরণীতে চিকিৎসা সংকটের ইঙ্গিত আছে। সেখানে যা বলা হয়েছে তার মর্মার্থ এই যে : জগন্নাথপুরে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল আছে। মেডিকেল কর্মকর্তা ও উপসহকারী মেডিকেল কর্মকর্তা মিলে সর্বমাট ৩৪ জন কর্মরত থাকার কথা। কিন্তু সে-স্থলে কর্মরত আছেন মাত্র ৯ জন। সরকার একটি হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় লোকবল নির্ধারণ করেছেন ৩৪ জন। এই সংখ্যা নির্ধারণ করার নিহিতার্থ হলো, অন্তত ধরে নেওয়া যায়, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের আপপাশের লোকজনের সংখ্যানুসারে তাদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে এই নির্দিষ্ট সংখ্যক চিকিৎসক দরকার। অথচ চিকিৎসক আছেন মাত্র ৩৪ জনের স্থলে ৯ জন। এই ৯ জন চিকিৎসক যদি ৩৪ জনের দৈনন্দিন কাজ সম্পন্ন করতে চান তবে প্রত্যেক চিকিৎসককে দিনে ৩০ ঘন্টার অধিক সময় ব্যাপী কাজ করতে হবে। এদিকে পৃথিবীতে এক দিনের সময়বিস্তৃতি মাত্র ২৪ ঘন্টা। ৯ জনের লোকবল দিয়ে দিয়ে ৩৪ জন লোকবলের কাজ করানো যে আদপেই কতোট অবাস্তব তা গাণিতিক হিসাবটি ভালো করে বুঝিয়ে দিচ্ছে। এমন অবাস্তব ও অসম্ভব কর্মক্রিয়া কেবল বাংলাদেশেই সম্ভব। বিশ্বের অন্য কোনও দেশে বোধ করি এমন আজব ঘটনা ঘটে না। এটি একটি অসম্ভব প্রপঞ্চ। কমসংখ্যক চিকিৎসক বেশিসংখ্যক রোগীকে পুরোপুরি চিকিৎসসেবা দিতে অনিবার্যভাবে ব্যর্থ হবেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই এবং জগন্নাথপুরে সেটাই ঘটেছে। কর্মরত ৯ জন চিকিৎসক দিয়ে ৩৪ জন চিকিৎসকের কাজ করানোর বাস্তবতা শেষ পর্যন্ত দেশের ভেতরে বিদ্যমান চিকিৎসা সংকটকেই নির্দেশ করে। দীর্ঘদিন ধরে জগন্নাথপুরের সামগ্রিক চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই সংকট চলে আসছে। অর্থাৎ উপজেলাবাসী চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।
গত কদিন আগে, সুনামগঞ্জের এক হাসপাতলের এক চিকিৎসক এক রোগীর এক ব্যবস্থাপত্রে ব্যথানাশক ঔষধ লিখে দিয়েছেন কুল্লে ৬টি। ফার্মেসির লোকেরা এই ব্যবস্থাপত্র দেখে বিস্মিত হয় এবং সিভিল সার্জনের বরাবরে ব্যবস্থাপত্রটি পেশ করা হলে তিনি তড়িৎ বিহিত ব্যবস্থা নিয়েছেন, বলে পত্রিকার প্রতিবেদনে প্রকাশ। হাসপাতাল আছে, শয্যা আছে, রোগীর কোনও অভাব নেই, রোগীর ভিড় বাড়ছে দিন দিন। কিন্তু চিকিৎসক নেই। চিকিৎসকদেরকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়োগ দিলে চিকিৎসক হাসপাতালে হাজির থাকেন না। এই এক অদ্ভুত দেশের এক অদ্ভুত অবস্থা। চিকিৎসা ব্যবস্থায় এই দুর্গতির অবসান চাই, চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হসপাতালে লোকবল বাড়নোর বিহিত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com