স্টাফ রিপোর্টার ::
মালিকানাধীন ভূমিতে অবৈধভাবে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কমিশনার আহমদ আলী। তিনি বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। তিনি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, মোহাম্মদপুর মৌজাস্থিত যাহার জেএল নং- ১১১ এসএ খতিয়ান নং-২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯,১০,১১,১৩ ও ১৪ নম্বর খতিয়ানে এবং ১নং খতিয়ানে রেকর্ডভুক্ত হয়। উক্ত ভূমি রেকর্ডীয় মালিক হিসেবে এসএ জরীপের পূর্ব হইতে চিহিৃত মতে স্বত্ব দখল পরিচালনা করে আসছেন তিনি। উল্লেখিত খতিয়ান সমূহের রেকর্ডীয় মালিকগণ ও কোন কোন রেকডীয় মালিকগণের উত্তরাধিকারী হতে বিভিন্ন দলিলমুলে এবং আহমদপুর মৌজাস্থিত ৯০ দাগে এবং ১২৭ দাগের ভুমি বাটোয়ারার দাবিতে তিনি প্রকৃত মালিক। সরকারি কোন ভূমিতে তিনি কখনও স্বত্ব দাবি করেন নাই বা তাঁর দখলে নেই। তিনি বলেন, ২০০৭ ইং সনে স্থানীয় সার্ভেয়ার আমার স্বত্ব দখলীয় ভূমি সরকারি ভূমি হিসাবে এক প্রতিবেদন দিলে আমি উক্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে পুন: তদন্তের আবেদন করি। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন আমার আবেদন নিবেদন কর্ণপাত না করায় আদালতে স্বত্ব মোকদ্দমা দায়ের করি। মোকদ্দমা নং- ০৫/২০০৭ইং। উক্ত বাটোয়ারা মোকদ্দমায় আদালত গত ১৩/১১/২০১৪ইং তারিখে আমার অনুকুলে রায় দেন।
তিনি আরো বলেন, জরীপি ৯০ দাগ সংলগ্ন উত্তরে ৯১ দাগের ভূমি অবশিষ্ট বটে। উক্ত ৯১ দাগের ভূমিতে কখনও কোনরূপ দখলে যাইনি বা এখনও কোন দখল নেই। স্থানীয় প্রশাসন আমার শত্রু লোকের কুপরামর্শে ১ম তফসিল বর্নিত ১নং খতিয়ানের ৯০ ও ৯১ দাগের ভূমিতে আমি অবৈধ দখলকার রহিয়াছি মর্মে কথিত উচ্ছেদ মোকদ্দমা দায়ের করে এবং উচ্ছেদ মোকদ্দমায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শোভন রাংশাকে উচ্ছেদ মোকদ্দমা কার্যকরি করার জন্য ক্ষমতা দেয়া হয়। উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আমাকে কোনরূপ নোটিশ না দিয়ে বিগত ২৮/০৩/২০১৮ ইং তারিখে আমার দখলীয় ৯০ দাগের স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ নিলে আপত্তি করতে পারি নাই। এমতাবস্থায় আমার দায়েরী স্বত্ব মোকদ্দমা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনরূপ উচ্ছেদ মোকদ্দমা পরিচালনা না করার জন্য অনুরোধ করিলে প্রশাসন তা মানতে রাজী নয় মর্মে জানিয়ে দেয়। স্থানীয় প্রশাসন সম্পূর্ণ অন্যায় ও বেআইনী ভাবে আদালতের বিচারাধীন আমার স্বত্ব মোকদ্দমাকে পাশ কাটিয়ে যেনতেন ভাবে আমার স্বত্ব দখলীয় স্থাপনা উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রহিয়াছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩ ডিসেম্ব্র ১৮ইং তারিখে আকষ্মিকভাবে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নূসরাত ফাতিমার নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আমার ৯০ ও ৯১ দাগের সীমানায় তাদের দাবিকৃত (২০+২০)=৪০ শতাংশের মধ্যে অভিযান পরিচালনা করা হয়। যাহা মোটেও সঠিক নহে। তিনি বলেন ১ম ও ২য় তফসিল মিলে আমার মোট ভূমির পরিমান হলো ৫.৯৬৫০ একর মাত্র। এ অভিযান সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পরিচালিত হয়েছে।