রেজাউল করিম ::
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধীদের বিবেচনাধীন নিয়ে সুদুর প্রসারী পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন। প্রতিবন্ধীদের ক্ষমতায়নের যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা রয়েছে। প্রতিবন্ধী কল্যাণ কেন্দ্র গড়ে তুলে তাদেরকে কাজে লাগাতে হবে। তিনি সোমবার সকালে স্থানীয় শহীদ আবুল হোসেন মিলনায়তনে ২৭তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২০তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন উপলক্ষেত আয়োজিত শোভাযাত্রা পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুচিত্রা রায়-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক আরো বলেন, আগামী বিজয় দিবসে প্রতিবন্ধীরা যাতে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। এজন্য জেলা সমাজসেবাকে উদ্যোগ নিতে তিনি বলেন। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীদের কল্যাণের জন্য আত্মকর্মসংস্থান গড়ে তুলতে চাই। আজকে বললাম কালকে ভুলে গেলাম এমন কাজ আমি করতে চাই না। ভাবনা তৈরি করে প্রতিবন্ধীদের কল্যানে কাজ করতে হবে। প্রতিবন্ধী, হিজরা এবং বেদে সম্প্রদায়ের কল্যাণের কথা বিবেচনাধীন নিয়ে আমাদেরকে এগুতে হবে। মানসিক দৃষ্টিতে তাদেরকে দেখতে হবে।
তার আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গন থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ আবুল হোসেন মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠানে এসে শেষ হয়।
‘সাম্য ও অভিন্ন যাত্রায় প্রতিবন্ধী মানুষের ক্ষমতায়ন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাশ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী। সমাজ সেবা অফিসার কোহিনুর সুলতানার পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সমাজ সেবা কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সামছুল আলম জুয়েল, রিকসাশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুবিমল চক্রবর্তী চন্দন, স্বপ্নডানার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মো.আব্দুর রাজ্জাক, প্রতিবন্ধী সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো.নুর উদ্দিন প্রমুখ। পরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী প্রতিবন্ধী শিশুদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ। এরপর প্রতিবন্ধী সাহায্য কেন্দ্র’র আওতাধীন প্রতিবন্ধী আয়াত উল্লাহকে ১টি ট্রাইসাইকেল তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। সবশেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধী শিশুরা সংগীত পরিবেশন করেন।