স্টাফ রিপোর্টার ::
২১ নভেম্বর ছিল ১২ই রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। মুসলিম জাহানের পবিত্রতম দিন। ৫৭০ খৃষ্টাব্দে অর্থ্যাৎ হিজরী ১৪৪০ বছর আগে এদিনে মানবতার মুক্তিদুত ও আল্লাহর প্রিয় রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সা:) পৃথিবীতে আগমন করেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর জন্মদিন উপলক্ষ্যে হিজরী বর্ষের ১২ রবিউল আউয়াল দিনটি মুসলিম বিশ্বে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে উদযাপন করা হয়ে থাকে।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দেশব্যাপি বিভিন্ন খানকাহ, দরবার শরিফ, মসজিদসহ ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠন জশনে জুলুস,ও মিলাদ মাহফিল সহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবং প্রতিবছরের ন্যায় এবারো সুনামগঞ্জ জেলা শহরে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়েছে। রাজাপুরা দরবার শরীফ সুনামগঞ্জ জেলার ভক্তবৃন্দ’র উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নেয়া হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও দোয়া-মাহফিল। শহীদ আবুল হোসেন মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠামালার আয়োজন করা হয়। সকালে আবুল হোসেন মিলনায়তন প্রাঙ্গন থেকে একটি বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পূনরায় মিলনায়তনে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন রাজাপুরা দরবার শরীফের পীর আলহাজ মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নাদিমুর রশিদ আলক্বাদরী।
আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পীর আলহাজ মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নাদিমুর রশিদ আলক্বাদরী। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী (দ:) কোরআন হাদীস দ্বারা প্রমানিত। ঈমানদার মুসলমান প্রতি ১২ই রবিউল আউয়াল আসলেই ঈদ উদযাপন করে নেয়ামতের শুকুর আদায়স্বরূপ জস্নে জুলুছ বা মোবারক র্যালি করে থাকেন। সারা পৃথিবীতে উক্ত দিনটিতে শোভাযাত্রা সেমিনার বা মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়। কোরআন মাজীদে আল্লাহতা’য়ালা এরশাদ করেন- তোমরা আল্লাহর নেয়ামত ও রহমত প্রাপ্তিতে আনন্দ উৎসব কর। নবী পাক (দ:) হলেন রহমত। কোরআন মাজীদে আল্লাহ তা”য়ালা রহমতরূপে প্রেরণ করেছেন। আরেক আয়াতে আল্লাহতা’য়ালা বলেন, তোমরা নেয়ামতের শুকুর আদায় কর। আল্লাহর সৃষ্ঠির সবচাইতে বড় নেয়ামত হলো তারই হাবীব মোহামম্মাদুর রাসুল (দ:)। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আ”লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আফতাব উদ্দিন। তিনি তাঁর বক্তব্যে মহানবী (সা:) এর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে গুরাত্বরোপ করেন। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মতিন, মাওলানা তোফাজ্জুল হোসেন চান্দিনা, আলহাজ আব্দুল মোতালেব রাজাপুরা, মাওলানা মতিউর রহমান, রাজাপুরা দরবার শরীফের খাদেম মাওলানা মুক্তার আলী ও অ্যাডভোকেট আব্দুর রইছ। আরো বক্তব্য রাখেন মো. জাফর আলী, মো.মফিজ আলী, আব্দুল মমিন মোহরী,রোকন উদ্দিন মোহরী, কেএম শামীম আহমদ চৌধুরী, বোরহান উদ্দিন, আবুল লেইছ, হাবিবুর রহমান, মাওলানা মিজানুর রহমান, মাওলানা আবুহানিফা, তোতা মিয়া, বশির উদ্দিন, মো.আব্দুল আউয়াল প্রমুখ।