1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪২ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

তিন সাবেক সাংসদ পুত্রের ভাগ্য শেখ হাসিনার হাতে

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জের ৩টি আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী চার নেতা, যাদের পিতা ছিলেন সুনামগঞ্জের তিনটি আসনের সাংসদ। যোগ্যতা এবং সাংগঠনিক দক্ষতায় থাকলেও মহাজোট, দলীয় শক্তিশালী প্রার্থী ও নানা সমীকরণে তাদের মনোনয়নের বিষয়টি এখন শেখ হাসিনার হাতে।
স্বাধীন বাংলার প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ। প্রভাবশালী নেতা হিসেবে দেশ-বিদেশে পরিচিতি ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত বৃহত্তর সিলেট বিভাগের রাজনীতি তার হাতের মুঠোয় ছিল। আব্দুস সামাদ আজাদ জীবিত থাকা অবস্থায় সন্তানরা রাজনীতিতে না জড়াননি। তার মৃত্যুর পর রাজনীতিতে পুরোপুরি সক্রিয় হন পুত্র আজিজুস সামাদ ডন। দুই বার চেষ্টা করেও দলীয় মনোনয়ন পাননি জাতীয় নেতার এই ছেলে। সর্বশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন করেন। কিন্তু আ.লীগের প্রার্থী সাবেক আমল এম এ মান্নানের কাছে হেরে যান নি। হেরে গেলেও মাঠ ছাড়েন নি তৃনমূলে জনপ্রিয় নেতা ডন। জেলা আ.লীগের সদস্য আজিসুজ সামাদ ডন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে তাকে মনোনয়ন পেতে হলে বর্তমান সাংসদ এম এ মান্নানকে টপকাতে হবে। ফলে তার ভাগ্য অনেকটা ঝুলে আছে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার হাতে। এই আসনটিতে আ.লীগের আরো বেশ কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী আছেন।
আব্দুজ জহুর ১৯৭০ সালে এমপিএ, ১৯৭৩ ও ১৯৯১ সালে সুনামগঞ্জ সদর আসনে এমপি নির্বাচিত হন। প্রথম দফায় সাধারণ সম্পাদক ও পরে জেলা আ.লীগের সভাপতি দ্বায়িত্ব পান তিনি। সৎ, নিষ্ঠাবান এই নেতা আমৃত্যু জেলা আ.লীগের সভাপতি ছিলেন। তার বড় ছেলে জুনেদ আহমদ বর্তমান জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ ও সুনামগঞ্জ-৪ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। দলীয় মনোনয়নের আশায় তিনি অনেকদিন ধরেই শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকান্ডের প্রচারণায় ভোটারদের কাছে ছুটে বেড়িয়েছেন। জেলার গুরুত্বপূর্ণ সদর আসনটিতে তিনি ছাড়াও জেলা আ.লীগের প্রভাবশলী আরো কয়েকজন নেতা দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।
অ্যাডভোকেট আব্দুর রইছ ১৯৭০ এবং ১৯৭৩ সালে সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ছিলেন জেলা আ.লীগের আমৃত্যু সভাপতি। এর আগে জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করেন। তার স্ত্রী রফিকা রইছ চৌধুরীও ছিলেন জেলা মহিলা আ.লীগের আমৃত্যু সভানেত্রী।
আব্দুর রইছের দুই পুত্র জেলা আ.লীগের সহসভাপতি অ্যাড. খায়রুল কবির রুমেন ও জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল করি ইমন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী। ব্যারিস্টার ইমন জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার আগে জেলা যুবলীগের আহবায়কও ছিলেন। দশম সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নও পেয়েছিলেন। কিন্তু মহাজোটের কারণে আ.লীগ আসনটি ছাড় দেয় জাপাকে। পরে বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। এবারো মহজোটের প্রার্থী হতে চাচ্ছেন পীর মিসবাহ। সেক্ষেত্রে অ্যাড. রুমেন ও ব্যারিস্টার ইমন পীর মিসবাহকে পেছনে ফেলে দলীয় মনোনয়ন আনতে হবে। এই আসনে জেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মতিউর রহমানও আ.লীগের শক্তিশালী প্রার্থী। আসন্ন নির্বাচনে কোনভাবেই জাপাকে আসনটি ছাড় েিদত রাজি নয় আ.লীগ।
জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুনেদ আহমদ বলেন, মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদি, এখন বাকিটা দলীয় সভানেত্রীর হাতে।
জেলা আ.লীগের সহ সভাপতি অ্যাড. খায়রুর করি রুমেন বলেন, রাজপথ, দলের দুর্দিন, কর্মীদের সুখে-দুঃখে সবসময় আমি ছিলাম। দিনের পর দিন শেখ হাসিনার উন্নয়ন বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌছে দিয়েছি। আশা করছি নেত্রী আমাকে নিরাশ করবেন না।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com