1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১২ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা : ধর্মপাশায় ২০ জন ভুয়া পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র জব্দ

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৮

ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের জনতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিইসি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ২০জন ভুয়া পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র জব্দ করা হয়েছে। নিজ পরিচয় গোপন করে অন্যের নামে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ওই দুটি পরীক্ষা কেন্দ্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান এসব পরীক্ষার্থীদের ঠিকানা যাচাই বাছাই করে ভুয়া পরীক্ষার্থীদের সনাক্ত করেন এবং তাদের প্রবেশপত্র জব্দ করেন।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, এই উপজেলার ৪৭টি আনন্দ স্কুল রয়েছে। এসব স্কুল থেকে পিইসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ৪৮৫ জন পরীক্ষার্থী নির্বাচিত হয়। এসব আনন্দ স্কুলের মধ্যে বেশ কয়েকটি আনন্দ স্কুলে ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে কয়েকজন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। এমন খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ধর্মপাশার জনতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যািলয় পিইসি পরীক্ষা কেন্দ্র দুটিতে তদন্ত করেন। তদন্তকালে জিজ্ঞাসাবাদে ভুয়া পরীক্ষার্থীরা তাদের আসল পরিচয় স্বীকার করে এবং ভবিষ্যতে আর এমন করবেনা বলে ইউএনওর কাছে ক্ষমা চায়।
এসব ভুয়া পরীক্ষার্থীরা উপজেলার ধর্মপাশা সরকারি কলেজ, জনতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, বাদশাগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ধর্মপাশা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও বাদশাগঞ্জ পাবলিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে সদ্য এইচএসসি উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থী রয়েছে।
এসব পরীক্ষার্থীরা ফাতেমা নগর আনন্দ স্কুলের হয়ে আটজন,আতকাপাড়া আনন্দ স্কুলের হয়ে একজন,ধর্মপাশা উত্তরপাড়া আনন্দ স্কুলের হয়ে একজন ও মাটিকাটা আনন্দ স্কুলের ১০জন শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে তারা পিইসির পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, ধর্মপাশা উপজেলায় রস্ক প্রকল্পের ট্রেনিং কো অর্ডিনেটর মোছা. সোহেলী আক্তারের প্ররোচনায় পরে এখানকার আনন্দ স্কুলের শিক্ষকরা ভুয়া শিক্ষার্থী দিয়ে পিইসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
ধর্মপাশা উপজেলায় রস্ক প্রকল্পের ট্রেনিং কো অর্ডিনেটর সোহেলী আক্তার বলেন, আনন্দ স্কুলের হয়ে ভুয়া পরীক্ষার্থীদের ঘটনাটি আমি উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তার কাছ থেকে শুনতে পেয়েছি। এতে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, ভুয়া এসব পরীক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা টাকার বিনিময়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল বলে আমাকে জানিয়েছে। এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এখানকার চারটি আনন্দ স্কুলের শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com