স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে মহাজোটের প্রার্থী নিয়ে সরব আলোচনা চলছে দুই উপজেলার ভোটারদের মধ্যে। আওয়ামী লীগের কোন্দলকে কাজে লাগিয়ে জাতীয় পার্টি তাদের হারানো আসন পূনরুদ্ধার করতে মরিয়া হয়ে উঠছে।
জানা যায়, এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করার জন্য মনোনয় ফরম সংগ্রহ করেছেন ১১ জন অপর দিকে জাতীয় পার্টি থেকে ফরম সংগ্রহ করেছেন জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সমাজ সেবক জামিল চৌধুরী। আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা মনে করছেন দলীয় মনোনয়ন পেলেই নির্বাচিত তাই প্রার্থীদের এ দীর্ঘ তালিকা।
আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন, বর্তমান সাংসদ জয়া সেন গুপ্তা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি মতিউর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, শাল্লা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট অবনী মোহন দাস, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এ্যাডভোকেট সামছুল ইসলাম, সিলেট এমসি কলেজের সাবেক ভিপি ইকবাল হোসেন, সাংবাদিক দীপক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ব্যারিস্টার অনুকূল তালুকদার ডাল্টন, আওয়ামী লীগ নেতা ওসমান খাদেম চৌধুরী ফার্সি, ইয়ামিন আজমান চৌধুরী, যুক্তরাজ্য শ্রমিক লীগ কার্যকরি কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট সামছুল ইসলাম, সায়েদ আলী মাহবুব হোসেন রেজু প্রমুখ।
এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির মনোনয় প্রত্যাশী জামিল চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের দিরাই-শাল্লায় কুন্দল রয়েছে। তারা একই দলের হলেও একে অন্যের বিরুদ্ধে কথা বলায় মহাজোটের ক্ষতি হচ্ছে। বর্তমানে ভোটের মাঠে জয়া সেন গুপ্তা পিঁচিয়ে রয়েছেন জোট নেতারা সে বিষয়ে অবগত রয়েছেন। দিরাই-শাল্লা জাতীয় পার্টির ঘাটি হিসেবে পরিচিত। ১৯৯৬ সালে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে পরাজিত করে এ আসনে জাতীয় পার্টি বিজয়ী হয়েছিলো। আগামী নির্বাচনে মহাজোট এ আসন থেকে আমাকে মনোনয়ন দিলে দিরাই-শাল্লার মানুষ আবারো এ আসন হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদকে উপহার দেবে।