জামালগঞ্জ প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জ জেলার পাকনার হাওরের পানি নিস্কাশনের রাস্তা’র পলি পরে দীর্ঘদিন যাবৎ ভরাট হয়ে যাওয়ায় ৬ হাজার হেক্টর জমি প্রতি বছরই থাকে অনাবাদী। জামালগঞ্জ উপজেলার সর্ববৃহৎ পাকনার হাওরের পানি নিস্কাশনের জন্য কানাইখালী নদী খনন, গজারিয়া স্লুইচ গেইটের পশ্চিমাংশ ও পূর্ব দিকে পাকনার হাওরের বিলে খাল খনন, ঢালিয়া স্øুইচ গেইট’র দক্ষিনাংশ ও চুনাইর মুখ খনন না করায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও অধিকাংশ ছোট ছোট হাওর গুলি রয়েছে জলাবদ্ধ। গজারিয়া স্লুইচ গেইটের কপাট এখনো বন্ধ থাকায় নিস্কাশন হচ্ছে না হাওরের পানি।
সেজন্য মঙ্গলবার পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক এস্কেবেটর দিয়ে গজারিয়া স্লুইচ গেইটের পশ্চিমাংশের পলি পড়া মাটি খননের কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। এই দৃশ্য দেখে প্রান্তিক কৃষক কিছুটা স্বস্থি পেলেও বড় ও মাঝারি কৃষকরা দুঃচিন্তায় ভুগছে জমি অনাবাদী থাকার আঙ্ককে।
স্থানীয় কৃষক মুমিন, শাহাব উদ্দিন, আলী আহমদ বলেন, স্লুইচ গেইটের পশ্চিমাংশ আরো আগে খনন করে খুলে দিলে হাওরের পানি অনেক আগেই কমে যাইত । এখন ছোট একটা এস্কেবেটর দিয়া ডালা খুললেই পানির টান পড়তে পারে, গেইটের পূর্বের দিকে খননের দরকার খুব বেশি । একটা এস্কেবেটর দিয়া কিছুই করা সম্ভব না।
ফেনারবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু তালুকদার বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে তিন কোটি টাকার কাজ আরো আগেই শুরু হওয়ার কথা কিন্তু এখন গজারিয়া স্লুইচ গেইটের পশ্চিমাংশে একটা ছোট এস্কেবেটর দিয়ে কাজ করতাছে। স্লুইচ গেইটের পূর্ব দিকের বাকি কাজ কবে শুরু করবো কেউ জানে না। এখন যদি এস্কেব্টের হাওরে প্রবেশ করাইতে না পারে এবারও জলাবদ্ধতায় আবদ্ধ থাকবে ৬ হাজার হেক্টর ফসলি জমি।
জামালগঞ্জ হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি মু্িক্তযোদ্ধা ইউসুফ আল আজাদ বলেন , আরো আগেই খনন কাজ শুরু করার কথা এই বিলম্বের কারন পাউবো ছাড়া কেউ জানে না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসজিও নিহার রঞ্জন দাস বলেন, গজারিয়া স্লুইচ গেইটের পূর্ব দিকে পাকনার হাওরের খাল খননের জন্য ২ কোটির বেশি অর্থ বরাদ্ধ হয়েছে। আর কানাইখালী খননের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৮৬ লক্ষ টাকা ,অচিরেই আরো বড় শক্তি সম্পন্ন এস্কেবেটর পৌঁছে যাবে জলাবদ্ধতা দূরীকরনে সরকার বদ্ধ পরিকর।