1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৫ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

স্কুলছাত্র ইমন হত্যা: সাক্ষ্য দিলেন দুই বিচারক

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৮

ছাতক প্রতিনিধি ::
ছাতক উপজেলার চাঞ্চল্যকর শিশু ইমন হত্যা মামলায় এবার সাক্ষ্য দিয়েছেন দুই বিচারক। সোমবার সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রেজাউল করিমের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন।
সাক্ষ্যদানকারী বিচারকরা হচ্ছেন, হবিগঞ্জের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শহীদুল আমিন ও সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম কান্ত সিনহা। এর আগে একই আদালতের বিচারক মো. মকবুল আহসানের কাছে বাদির মানিত ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনই সাক্ষ্য প্রদান করেন।
আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর জানান, বাদির মানিত সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। সোমবার থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। দুইজন বিচারক সাক্ষ্য দিয়েছেন। আগামী ৪ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখে ডাক্তার ও তদন্তকারী কর্মকর্তা সাক্ষ্য প্রদানের কথা রয়েছে।
সাক্ষ্য প্রদানকালে বিচারক মোহাম্মদ শহীদুল আমিন উল্লেখ করেন, তিনি ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল সুনামগঞ্জে কর্মরত থাকাবস্থায় মামলার আসামি সুয়াইবুর রহমানের (মসজিদের ইমাম) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী গ্রহণ করেন। আদালতে হাজিরকালে থাকে চিন্তাভাবনার জন্য ৩ ঘন্টা সময় দেন। প্রশ্নাবলী বুঝিয়ে দেওয়া হয়। চিন্তাভাবনার পর তাকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে পুনরায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দী দেয়।
এছাড়া সুনামগঞ্জের ছাতকে কর্মরত থাকাবস্থায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম কান্ত সিনহা ২০১৫ সালের ১০ এপ্রিল সুজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী গ্রহণ করেছেন বলেও সাক্ষ্য দেন।
প্রসঙ্গত, ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বাতিরকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী জহুর আলীর ছেলে ও লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানার কমিউনিটি বিদ্যালয়ের ছাত্র ইমনকে ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ অপহরণ করা হয়। পরে মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার পরও অপহরণকারীরা শিশু ইমনকে হত্যা করে। ৮ এপ্রিল মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে সিলেটের কদমতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে শিশু ইমনের হত্যাকারী ঘাতক ইমাম সুয়েবুর রহমান সুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি
অনুযায়ী পুলিশ হত্যাকা-ে ব্যবহৃত ছুরি, বিষের বোতল ও রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করে। এমনকি বাতিরকান্দি হাওর থেকে ইমনের মাথার খুলি ও হাতের হাড় উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, মামলাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর সিলেটের দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি ট্রাইব্যুনালে ওঠে। মামলার কার্যক্রম দ্রুতই এগিয়ে চলছিল। আদালতের বিচারক ছুটিতে থাকায় মধ্যখানে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ বন্ধ ছিল। প্রায় এক বছর পর ২ আগস্ট থেকে আবার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com