দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি ::
দোয়ারাবাজারে ব্যবসায়ী তৌহিদ হোসেন (২৫) খুনের ঘটনায় আটক শামীম আহমদ শনিবার জেলা বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে ব্যবসায়ী তৌহিদকে সে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার বর্ণনা দিয়েছে। জড়িত সন্দেহে আটক অপর ৬ জনের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নিহতের ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে শামীমকে প্রধান আসামী করে ২ জনের বিরুদ্ধে দোয়ারাবাজার থানায় একটি হত্যা মামলাদায়ের করেন। শনিবার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ছাতক সার্কেল) দোলন মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ কলাউরা গ্রামের মাদরাসা পাড়ার মৃত অহিদ মিয়ার পুত্র ব্যবসায়ী তৌহিদ খুন হয়। খবর পেয়ে পুলিশ বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সম্মুখের একটি গলি থেকে নিহতের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। ওইদিন সন্ধ্যায় পুলিশ হত্যাকাণ্ডের মূল আসাসি একই ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র শামীম আহমদসহ সন্দেহে আরো ৬ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত তৌহিদ স্থানীয় কলাউরা (মার্কেট) বাজারের একজন ফ্লেক্সিলোড ও বিকাশ এজেন্ট (ব্যবসায়ী) ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে ব্যবসায়ীক কাজে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফিরেননি।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি সুশীল রঞ্জন দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের আপন ভাই রফিকুল ইসলাম আটক শামীমসহ ২ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। কিন্তু মূল আসামি শামীম কোর্টে জবানবন্দিতে অপর আসামীদের কথা অস্বীকার করেছে। জবানবন্দিতে তৌহিদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শামীম নিজেকে একাই দোষী বলে স্বীকার করেছে।