হোসাইন আহমদ ::
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের জগন্নাথপুর – পাগলা আঞ্চলিক সড়কের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার আক্তাপাড়া বাজার এলাকায় বেইলী ব্রীজের পাঠাতন ভেঙ্গে যাওয়ায় এক সপ্তাহ ধরে সুনামগঞ্জ জেলা সদরের সাথে জগন্নাথপুর উপজেলার সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে প্রায় ২ লক্ষ জনসাধারন যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
মঙ্গলবার বিকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের দায়িত্বরত প্রকৌশলীদের উপস্থিতিতে শ্রমিকরা বেইলী ব্রীজের দূর্বল পাঠাতন গুলোর উপরে ওভার ব্রীজ নির্মাণ কাজ দ্রুত চালিয়ে যাচ্ছেন। বেইলী ব্রীজের দু-পাড়ে যাত্রীবাহি বাস, লেগুনা, সিএনজি অটোরিক্সা রয়েছে। যাত্রীরা ব্রীজের পূর্বপাশের মাঠ দিয়ে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার হেঁটে যানবাহন দিয়ে গন্তব্য স্থানে যাচ্ছেন। কিন্তু এতে বিশেষ করে নারী, শিশু ও শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
গত গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বেইলী ব্রীজের পাঠাতন ভেঙ্গে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার বিকালে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান ঐ সড়ক দিয়ে জগন্নাথপুর উপজেলায় আসতে চাইলে তিনিও দুর্ভোগের শিকার হন।
তিনি এ সময় তার ব্যবহৃত গাড়ি রেখে পায়ে হেঁটে আক্তাপাড়া বাজার এলাকা থেকে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়ি যোগে জগন্নাথপুরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। প্রতিমন্ত্রী ঐ সময় ভেঙ্গে যাওয়ায় বেইলী ব্রীজটি পরিদর্শন করেন এবং দ্রুত মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
দরগাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনির উদ্দিন জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে ব্রীজটির একটি অংশ ভেঙে যায়, এর পর থেকে জগন্নাথপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার আমার ইউনিয়ন দরগাপাশার মানুশের সরাসরি সুনামগঞ্জের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আজ এক সপ্তাহ ধরে এলাকার মানুষ অনেক কষ্টে করে যাতায়াত করছেন।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ভেঙ্গে যাওয়ায় ব্রীজের পাঠাতন গুলোর উপরে ওভার ব্রীজ নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। ২/১ দিনের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি আরো জানান, ডাবর পয়েন্ট থেকে জগন্নাথপুর উপজেলা পর্যন্ত মহা সড়কের ৭টি বেইলী ব্রীজ নির্মাণে টেন্ডার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে স¤পন্ন হয়েছে। মূল্যায়ন প্রতিবেদন ও মন্ত্রনালয়ের আদেশ পেলেই কাজ শুরু হবে।