অঞ্জন পুরকায়স্থ ::
গজারিয়া স্লুইচ গেইট বন্ধ থাকা ও পশ্চিম অংশে খননকাজ না করায় জামালগঞ্জের পাকনার হাওরের পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত হয়ে আছে হাজার হাজার হেক্টর জমি । সম্প্রতি ফেনারবাঁক ইউনিয়ন পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়েকজন ইউপি সদস্য পাকনার হাওরের ডালিয়া স্লুইচ গেইট সংলগ্ন এলাকা ও চুনাইর মুখ খনন করার জন্য শ্রমিক দিয়ে কাজ করালে হাওরের পানি কিছুটা নিষ্কাশন হলেও গজারিয়া স্লুইচ গেইট বন্ধ থাকায় ও পশ্চিম অংশে খনন না করায় পানি আটকে আছে । ফলে পাকনার হাওরের পূর্বাংশে ভিমখালী ইউনিয়নের জমি ও পাকনার হাওরের উত্তরাংশে জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের জমিসহ হাজার হাজার হেক্টর জমি অনাবাদী থাকার আশঙ্কা রয়েছে। অচিরেই গজারিয়া স্লুইচ গেইট খোলে দিয়ে পশ্চিম অংশে খননকাজ করে সুরমা নদীতে পানি নিষ্কাশনের সুযোগ করে না দিলে ৫ হাজার জমির ফসল অনাবাদী থেকে যাবে। এ ব্যাপারে ফেনারবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু তালুকদার বলেন- সরকারি ভাবে ও স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে পরিষদের মাধ্যমে খননের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেব। ভীমখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল মিয়া বলেন- অচিরেই দুই চেয়ারম্যান মিলে গজারিয়া স্লুইচ গেইট খোলার ও পশ্চিম অংশে খননকাজ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করবো। হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন এর জামালগঞ্জ শাখার সভাপতি ইউসুফ আল- আজাদ বলেন, প্রতি বছরই কানাইখালীর খনন ও পাকনার হাওরের জলাবদ্ধতা নিয়ে সভা সমাবেশ হয়। কিন্তু এর কোনো স্থায়ী সমাধান হয় না। চলতি বছরে যাতে ধান রোপণ করতে পারে সেজন্য গজারিয়া স্লুইচ গেইট খোলার ও পশ্চিম অংশ খনন করার জন্য সরকারের পদক্ষেপ জরুরী। অন্যথায় আগামী বছর না খেয়ে মরবে কৃষক।