দক্ষিণ সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ::
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় চেয়ারম্যানেদর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কটূক্তি করেছেন (ভারপ্রাপ্ত)কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবিব।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগে বিষয়টি নজরে আসলে উপজেলার সর্বত্রই ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসে সদ্য যোগদানকারী কৃষি কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) তার “অশিক্ষিত ক্ষ্যাত বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেন। এতে স্থানীয় চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে করে অশিক্ষিত ক্ষ্যাত হাবীব ফেসবুক আইডিতে আহসান হাবিব লিখেন “ডিএই তে প্রণোদনার মৌসুম এসেগেছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের দুর্নীতি ও দাপট ভেঙ্গে কৃষকদের ন্যায্য ও পরোপাওনাটা তুলে দেওয়ার এখনই সুযোগ ”স্ট্যাটাসটি নজরে আসলে এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান জিতু, জয়কলস ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মাসুদ মিয়া, পূর্ব পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন, পশ্চিম পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুল হক, পাথারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আমিনুর রশিদ, পূর্ব বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুর কালাম, পশ্চিম বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. সফিকুল ইসলাম সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অনতি বিলম্বে উক্ত কৃষি অফিসারের অপসরণ দাবী করেন।
শিমুলবাঁক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান জিতু ও জয়কলস ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মাসুদ মিয়া জানান, কৃষি কর্মকর্তা তিনি নিজেই দুর্নীতিবাজ। উনার অনিয়ম দুর্নীতিতে আমরা বাধা দিয়েছি বলেই তিনি উল্টো পাল্টা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখে স্থানীয় চেয়ারম্যানদের হেয়প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। অতিস্বত্ত্বর এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে অপসারণ না করা হলে স্থানীয় সকল জনপ্রতিনিধিরা কঠোর আন্দোলনে যাবো।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা(ভারপ্রাপ্ত)কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবিব ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন বলে সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আইডিটিতে আমার যা লিখেছি সঠিক লিখেছি, বুঝে নিতে হবে।তারা যদি আমার অপসারণ চায়, তাহলে আমার জন্য ভাল হয়। আমি এখানে থাকতে চাই না।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সফি উল্লাহ বলেন, কোন সরকারি কর্মকর্তা বা অফিসার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কারো বিরুদ্ধে কোন কিছু লিখতে পারবেন না। এটা করা দন্ডনীয় অপরাধ।