শহীদনূর আহমেদ ::
দিরাই পৌরসভা এলাকায় বেপরোয়া রিকসা ভাড়া । রিকসা চালকদের লাগামহীন ভাড়া দাবিতে অতিষ্ট যাত্রী সাধারণ। তুলনামূলক কম দূরত্বে যাতায়াত করতে যাত্রীদের গুনতে হয় বেশি টাকা। পৌর এলাকায় ভাড়া নির্ধারণে কোন নির্দ্দিষ্ট তালিকা না থাকায় রিকশা চালকরা ইচ্ছে মতো যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করছেন বাড়তি টাকা। বেশি ভাড়ার কারণ জানতে চাইলে রাস্তার অবস্থা ও অতিরিক্ত পরিশ্রমসহ নানা অজুহাত দেখান রিকসা চালকরা। অনেক সময় যাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে দেখা যায় চালকদের । যাত্রীদের অভিযোগ রিকসার বেপরোয়া ভাড়া নিয়ন্ত্রণে বিহীত উদ্যোগ নিচ্ছেন না পৌরকর্তৃপক্ষ । দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় বেহাল রাস্তা যাতায়াতে রিকসার লাগামহীন ভাড়া আদায় মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণের কাছে। তাই রিকশা ভাড়া নিয়ন্ত্রণে পৌরকর্তৃপক্ষ তৎপর হওয়ার তাগাদা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
শুক্রবার সরেজমিনে দিরাই পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়কে রিকসা দিয়ে ঘুরে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়। দিরাই বাস্ট্যান্ড থেকে সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত মহিলা কলেজে গেলে ১০ টাকার স্থলে রিকসা চালককে দিতে হয় ৩০ টাকা । বাড়তি টাকার কারণ জানতে চাইলে এই ভাড়া নির্ধারিত বলে দাবি করেন চালক।
প্রতিবেদক ও আরেকজন যাত্রী নিয়ে বাজার সংলগ্ন ব্রিজের মুখ থেকে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গেলে ভাড়া ১০ টাকার স্থলে ২০ টাকা দাবি করেন রিকসা চালক । অতিরিক্ত ভাড়ার কারণ জানতে চাইলে রাস্তা খারাপের অজুহাত দেখান চালক। অতিরিক্ত ভাড়ার ব্যাপারে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সাথে আলোচনা করলে তারা জানান, রিকশা চালকরা ৫ টাকার স্থলে ১০ টাকা, ১০ টাকার স্থলে ২০ থেকে ৩০টাকা আদায় করে থাকেন। এছাড়াও তুলনামূলক কম দূরত্বে চালকরা বেশি টাকা আদায় করে থাকেন বলে জানান তারা। পৌর এলাকায় রিকশাভাড়ার নির্দিষ্ট তালিকা না থাকায় চালকরা ইচ্ছেমতো ভাড়া নিয়ে থাকে বলেও জানান তারা।
মাওলানা সুজাত নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, রিকশা চালকরা বেপরোয়া হয়েগেছে। ১০ টাকার জায়গা ২০ টাকা দাবি করে । অতিরিক্ত ভাড়ার কারণ জানতে চাইলে নানান অজুহাত দেখায়।
নন্দনী দাস নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, রিকশা চালকরা কোন কারণ ছাড়াই ভাড়া বৃদ্ধি করে দেয়। পৌর কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার বান করছেন। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দেখার কেউ নেই। সেলিম নামে এক রিকশা চালক বলেন, পৌর এলাকার রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। এই রাস্তা দিয়ে রিকশা চালাতে কষ্ট হয়। তাই ভাড়া একটি বেশি নিয়ে থাকি আমরা।
এ ব্যাপারে পৌর চেয়ারম্যান মোশারফ মিয়া বলেন, প্রতিটি রিকশার পেছনে ভাড়ার তালিকা দেয়া আছে। সর্বনি¤œ ৫ টাকা ভাড়া নেয়ার নির্দেশনাও দেয়া আছে। অতিরিক্ত ভাড়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে কোন অভিযোগ আমরা পাইনি। পেলে আমরা ব্যবস্থা নেয়া হবে।