ছাতক প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জের ছাতক ও সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ব্যবসায়ীদের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ নিস্পত্তি ও নৌপথে ষ্টোশন স্থাপনের বিষয়ে সরজমিনে তিন নদী মোহনা (নৌ-বন্দর) এলাকা পরিদর্শন করেছেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ ও সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই জেলা প্রশাসক পরিদর্শন কালে স্থানীয় বালু-পাথর ব্যবসায়ীদের সাথে এই বিষয়ে কথা বলেন। পরিদর্শন কালে ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, ইউএনও আবেদা আফসারী, কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও বিজেন ব্যানার্জী, ছাতক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সুনিয়া সূলতানা, উপজেলা আ’লীগের আহবায়ক ও ব্যবসায়ী আবরু মিয়া তালুকদার, ছাতক পৌরসভার প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াহিদ মজনু, ছাতক পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মো.জয়নাল চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক আবুল হাসান, পাঁচ ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি মো.আব্দুস সত্তার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট সুফ আলম সুহেলসহ বালু-পাথর ব্যবসায়ী ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ, ২০১০ সালে একটি লিখিত চুক্তিতে ৩ হাজার ঘনফুট মালামাল বহনকারী কার্গো-বাল্কহেড, ছাতকের নৌবন্দর তিন নদীর মোহানা (গোয়ালগাঁও পয়েন্ট) অতিক্রম না করে লোড-আনলোড করার কথা বলা হয়। এই চুক্তি অমান্য করায় ছাতক ও কোম্পানীগঞ্জের ব্যবসায়ীদের মধ্যে তীব্র বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই প্রতিবাদে নৌপথে কর্মরত শ্রমিকরা গত দুই সপ্তাহ ধরে টানা কর্মবিরতি পালন করছে। পাথর ব্যবসায়ীদের মধ্যে সৃষ্ট মতবিরোধ নিরসনে গত ১৫ অক্টোবর বিভাগীয় কমিশনারের আহবানে দুই উপজেলার ব্যবসায়ী ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মেজবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ছাতক ও কোম্পানীগঞ্জের প্রতিনিধিগন নিজেদের পক্ষে তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। উভয় পক্ষের কথা শুনে বিভাগীয় কমিশানার সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসককে সরজমিন প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন।