স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার নবাগত নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন নাহার রুমা বলেছেন, শিশুদের সুস্থ রাখতে মায়েদের ভূমিকার বিকল্প নেই। নিজেদের শিশুদের জন্য নিজেরাই কাজ করতে হবে। শিশুদেরকে নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়াতে হবে। তিনি মঙ্গলবার সকালে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ সুনামগঞ্জ ফিল্ড অফিস কর্তৃক সদর উপজেলার লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের আলহাজ জমিরুন নুর উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে শিশু ও অভিভাবক পুনর্মিলনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। লক্ষণশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ মো.আব্দুল ওয়াদুদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পুনর্মিলনী সভায় তিনি আরো বলেন, শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবুজ এবং হলুদ শাকসবজী বেছে বেছে খাওয়াতে হবে। ভিটামিন এ যুক্ত খাবার দিতে হবে। ইসলামিক রিলিফের এ উদ্যোগটি একটি মহতী উদ্যোগ। সংস্থাটি আমার উপজেলার লক্ষণশ্রী ও গৌরারং ইউনিয়নের শিশুদের নিয়ে কাজ করছে জেনে আমি আনন্দিত। জাতির জনকের স্বপ্ন সোনারবাংলা গড়ে তুলতে সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। শিশুদেরকে দেশের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের সকলের। তিনি আরো বলেন “কথায় বড় না হয়ে কাজে বড় হতে হবে”। পরে তিনি লক্ষনশ্রী ইউনিয়ন কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন।
ইসলামিক রিলিফের ফিল্ড অফিসার মো.নুরনবী ও নাজিমুন নেছার যৌথ পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া, সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো.নাজমুল হাসান, গৌরারং ইউপি চেয়ারম্যান মো.ফুল মিয়া ও জমিরুন নুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফররুখ আহম্মদ তালুকদার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামিক রিলিফের প্রোগ্রাম অফিসার মো.জাকারিয়া। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কেয়ার প্রতিনিধি সঙ্গীতা বৈদ্য, মো.বিলাল হোসেন, অভিভাবক শিরিনা বেগম, শুকরিয়া বেগম, শিক্ষার্থী মিতা বেগম, আরমান মিয়া প্রমুখ। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আহমদ। এসময় অগনিত মহিলা ও তাদের শিশুরাসহ এলাকার গন্যমান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ইসলামিক রিলিফ সুনামগঞ্জ ফিল্ড অফিসের আওতায় লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের সুবিধাভোগী শিশুর সংখ্যা ৭৩ জন। এই ৭৩ জন এতিম শিশুদের পড়াশুনায় ইসলামিক রিলিফ আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আসছে।