1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

কাজ-না-করা সরকারি প্রতিষ্ঠান দেশের উন্নতিকে পিছনে টানে

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৮

গতকলের দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদে বলা হয়েছে, একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ৫৯ বছরের গবেষণার ফসল এক জোড়া বাঁশের সোফা। বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট বিভিন্ন রকমের গবেষণার কাজে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাকে বিদেশে পাঠানো হয় প্রতি বছর। তাঁরা চীন, হংকং, মালয়েশিয়া, ভারত, জাপানসহ আরও কয়েকটি দেশে গবেষণা করতে যান এবং এই কার্যক্রম চলছে প্রতিষ্ঠানটির জন্মলগ্ন থেকেই। প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মুখ্য বৈাজ্ঞানিক কর্মকর্তা এক প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, এ প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘ ৫৯ বছরের গবেষণার ফল দুটি বাঁশের তৈরি সোফা। তাঁরা নিয়ম মেনে সব কাজই করেন এবং মনে করেন, গবেষণা করলেই যে সফলতা আসবে তা তো নয়।
আমাদের দেশে একজন কবি আছেন। তিনি তাঁর প্রায় ৪০ বছরের একক সাধনায় নোবেল ছিনিয়ে নিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের কথা বলছি। সাহিত্য সাধনা তো এক রকম গবেষণারই কাছাকাছি কাজ। কিন্তু অনেক কর্মকর্তা মিলে ২টি সোফা তৈরি করতে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৫৯ বছর গবেষণা করতে হয়। অপরদিকে ইতোমধ্যে আমাদের দেশের গবেষকরা পাটের ডিএনএ আবিষ্কার করেছেন। বিভিন্ন ধরণের উচ্চফলনশীল ধান উদ্ভাবন হয়েছে দেশেরই গবষকদের হাতে। যার কল্যাণে আজ দেশে ব্যাপকহারে জনস্ফীতি ঘটার পরেও দেশ খাদ্যে স্বানির্ভর। গত বছরের আগের বছর ভাটি অঞ্চলের সম্পূর্ণ ফসল তলিয়ে যাওয়ার পরও দেশে খাদ্যাভাব ঘটেনি। দশক-দেড়দশক কালের গবেষণায় বাউকুল, মিষ্টি তেঁতুল, মিষ্টি জলপাই, মিষ্টি মাল্টা ইত্যাদি ফলসহ বিভিন্ন ধরণের সংকরজাতের ফলদ ও কাষ্ঠল বৃক্ষ এমনকি সবজির উদ্ভাবন সম্পন্ন হয়েছে দেশে। সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে বাংলাদেশের কৃষি। বিপরীতে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে গবেষণা চালিয়ে, বিদেশে প্রশিক্ষণ নিয়ে এক বছর বাদে দীর্ঘ ৬০ বছরে বাঁশ দিয়ে ২টি সোফা উদ্ভাবনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য দেখাতে পারছে না বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট। অথচ বনায়নের অভাবে দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে মরুভবন শুরু হয়েছে। বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের সেখানে কাজ করার কোনও বিকল্প নেই। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে যে-সব প্রাকৃতিক বনাঞ্চল ছিল সে-গুলো কালক্রমে উজাড় হয়ে যাচ্ছে। আর এদিকে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট জন্মলগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত দীর্ঘ ৫৯ বছলে ২টি বাঁশের সোফা তৈরি করে গবেষণার কৃতিত্ব প্রদর্শন করে টিকে আছে, যথারীতি বেতন নিচ্ছে, বিদেশে যাচ্ছে গবেষণনার অজুহাতে এবং নষ্ট-পুরনো বীজ সরবরাহ করছে, গবেষণার নামে অর্থ গাপ করছে।
এরপর আর কীছু বলতে চাই না। স্বাভাবিক বুদ্ধি যা বলে তার একটাই অর্থ হতে পারে, এমন কাজ-না-করা প্রতিষ্ঠানের উন্নতিশীল বাংলাদেশের দরকার নেই। এমন সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রকৃতপক্ষে দেশের উন্নতিকে পিছনে টেনে ধরার প্রাতিষ্ঠানিক প্রতারণা ভিন্ন অন্য কীছু হতে পারে না। হয় এই প্রতিষ্ঠানকে এখনই বন্ধ করে দেওয়া হোক অথবা এমনভাবে পরিচালিত করা হোক যাতে বাংলাদেশের বনসমস্যা নিরসনে এই প্রতিষ্ঠান সত্যিকার অর্থে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে এবং সবশেষে বলি, যারা তঞ্চকতা করে এই ইনস্টিটিউটকে একটি ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানে পর্যবশিত করেছে এবং গবেষণা ইনস্টিটিউটকে অর্থ লুটের কারখানা বানিয়েছে, তাদেরকে বিচারের সম্মুখিন করা হোক।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com