শহীদ নূর আহমেদ ::
মাত্র এক বছর আগের কথা। শহরের কালীবাড়ী পুকুরটি ছিল ময়লা আবর্জনায় পরিপূর্ণ। স্থানীয়রা একে দেখতেন সাধারণ একটি হাজামজা পুকুর হিসেবে। কালীবাড়ী এই মজা পুকুরটি আজ পরিচিতি পেয়েছে একটি দৃষ্টিনন্দন স্থানে।
প্রয়াত পৌর মেয়র আয়ূব বখত জগলুলের নেয়া কিছু উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে পুকুরটি ফিরে পেয়েছে নতুন প্রাণ। পুকুরের পূর্ব পাশের অবৈধ দখল মুক্ত করা হয়েছে। দক্ষিণ পাশে পাকা সড়ক বর্ধিত করে পুকুর পাড়ে দেয়া হয়েছে র্যালিং । যা পুকুরটির সৌন্দর্য্য বর্ধনে কাজ করেছে। পুকুরের ঘাটলাটিকে সংস্কার করায় সামনে থাকা কালীবাড়ী মন্দিরের সৌর্ন্দয্য ফোটে উঠেছে নিখুত ভাবে। কচুরিপানাসহ আবর্জনা পরিস্কারের পর পুকুরের পানিও ব্যবহরা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কালীবাড়ী পুকুরটি পৌরসভার মালিকানা হলেও সম্প্রতি এর মালিকানা কালীবাড়ী মন্দির পরিচালনা কমিটিকে হস্তাস্তর করেছেন পৌর কর্তপক্ষ। পুকুরটির সৌর্ন্দয্য, পবিত্রতা রক্ষার পাশাপাশি পানি ব্যবহারে স্থানীয়দের সচেতনতা বৃদ্ধি করবেন বলে জানিয়েছেন মন্দির পরিচালনা কমিটি।
এদিকে পুকুরটি দৃষ্টিনন্দন করায় পৌর কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পথচারী, স্থানীয় ব্যবাসায়ী ও মন্দির কর্র্র্র্র্তৃপক্ষ। পঙ্কজ চৌধুরী নামে এক পথচারী বলেন, এক বছর আগেও কালীবাড়ী মন্দিরের সামন দিয়ে হাটলে পুকুরের ময়লা আবর্জনার গন্ধ নাখে এসে লাগতো। প্রয়াত মেয়র আয়ূব বখত জগলুল পুকুর উন্নয়নে কাজ করায় পুকুরটি নতুন প্রান ফিরে পেয়েছে। এখন পুকুর পাড় দিয়ে হাটতে অন্য রকমই লাগে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী দাস ব্রার্দাস এর মালিক রূপাংকর দাস বলেন, কালীবাড়ী পুকুরটি এখন দৃষ্টি নন্দন স্থানে পরিণত হয়েছে। পুকুরটি রক্ষাণাবেক্ষণে আমরা স্থানীয়দের সচেতন করছি।
কালী কালী মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিশ্বাজৎ চক্রবর্তী বলেন, পৌরসভার কাছ থেকে কিছু দিন হলো আমরা পুকুরটি মালিকানা গ্রহণ করেছি। পুকুরটির সৌন্দর্য্য পবিত্রতা রক্ষার পাশাপাশি পানি ব্যবহারে স্থানীয়দের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মন্দির কর্তৃপক্ষ কাজ করবে।