স্টাফ রিপোর্টার::
জামালগঞ্জ উপজেলার হালির হাওরটি প্রতি বছর পাহাড়ী ঢলে কালিবাড়ী অংশে রাজাবাজ মৌজার ১০৮ নং দাগে ভেঙ্গে গিয়ে কৃষকের ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। বিগত ২০১৭ সালে এই অংশে বেড়ী বাধের ক্লোজার ভেঙ্গে ৫০ ফুট গভীর গর্তের সৃষ্টি হয় এবং হালির হাওরে সব ফসল পানিতে তলিয়ে যায়।
বেড়ী বাধের অংশটি ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় ২০১৭ সালে উপজেলা আইন শৃংখলা ও হাওর ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং এ গভীর গর্তটি ভরাটের সিন্ধান্ত নেওয়া হয়। আংশিক ভরাটের এক পর্যায়ে জনৈক প্রভাবশালী প্রভাকর রায়ের বাধাঁর প্রেক্ষিতে গর্ততি সম্পূর্ণ ভরাট করা সম্ভব হয়নি। প্রভাকর রায় গর্তটি ভরাট না করতে পাউবো’র এস ও কে হুমকি প্রদান করেন। ঐ সময় পাউবো কর্মকর্তা জামালগঞ্জ থানায় প্রভাকর রায়ের বিরুদ্ধে জিডি করতে বাধ্য হন।
এ ব্যপারে গত ৭ অক্টোবর বেহেলী উনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা হিটু মিয়া জনসার্থে গর্তটি ভরাটে বাধাঁ দেওয়ায় প্রভাকর রায়ের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের বরাবরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে আবেদন করেন। তিনি তার আবেদনে উল্লেখ করেন গর্তটি ভরাট না করলে হালির হাওরের ফসল অতীতের ন্যায় আগামীতেও ফসল পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। দরখাস্তে তিনি আরও উল্লেখ করেন ঐ অংশটিকে যেন কোন ভাবেই ইজারা প্রদান না কারা হয় । এবং গর্তটি ভরাটে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করেন কর্তৃপক্ষ।