মোসাইদ রাহাত::
জ্বালানী সংকটে সুনামগঞ্জের হাওরের মানুষ। দিন দিন বাড়ছে সংকট। রান্না করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনায় পড়ছেন নারীরা। তাই সমস্যা সমাধানে এখনই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে হাওরাঞ্চলে।
একটা সময় ছিল হাওরে শত শত হিজলÑকরচ গাছের বাগান। হাওর পাড়ে দেখা মিলতো বাশঝাড়সহ নানা রকমের গাছ যা থেকে কাঠ সংগ্রহ করে জ্বালানীর চাহিদা মেটাতেন হাওরের বাসিন্দারা। জ্বালানী হিসেবে গোবরের শলাকা ব্যবহার করতেন তারা। কিন্তু গত দুই বছরের বদলেছে দৃষ্টপট। আশংকাজনক হারে কাটা পড়ছে গাছপালা। সাথে প্রযুক্তির ছোয়ায় কৃষিতে কমেছে গবাদি পশুর ব্যবহার। ফলে গোবরের শলাকারও ব্যবহার নেই তেমন একটা। এতে জ্বালানী সংকটে পড়েছেন হাওর অঞ্চলের মানুষ।
এ ব্যপারের দেখার হাওরের স্থানীয় বাসিন্দা লিমন মিয়া বলেন, গাছপালা কেটে ফেলার কারণে এখানে লাকড়ির খুব অভাব। আমাদের জ্বালানী ব্যবস্থা খুবই খারাপ। আমরা যে বাজার থেকে সিলিন্ডার কিনে নিয়ে এসে রান্নাবান্না করবো তার সামর্থ আমাদের নেই।
একই হাওরের হালিমা খাতুন বলেন, লাকড়ি না থাকার কারণে আমাদের ভাত রানতে অনেক কষ্ট হয়। সারাদিন হাওরের ঘুুরিয়া ঘুরিয়া লাকড়ি যোগার করতে হয় লাকড়ি যোগার হইলে পরে রান্ধন বইয়াতে হয়।
তার মতোই কুলসুমা বিবি বলেন, অনেক কষ্টে আমরার দিন কাটের। হাওরের বন্যায় যেমন আমরার অনেক ক্ষতি করছে ঠিক তেমনি এখন আমরা জ্বালানী পাই না। হয় বাজার থকি নাইলে বাইরের ঘুরিয়া ঘুরিয়া ফালাইল ডাল-পালা আনিয়া অনেক কষ্টে রান্না করতে হয়।
হাওরেরর এ সমস্যা নিরসনে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের অন্যতম নেতা সালেহীন শুভ বলেন, বর্তমানে হাওরের গাছাপালা নেই বললেই চলে। এ অবস্থায় মানুষজন জ্বালানীর প্রয়োজনে বাকি যা গাছ-পালা রয়েছে তাই কেটে নিয়ে আসছে যেখানে আমাদের পরিবেশগত সংকটও হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই প্রশাসরের প্রয়োজন এখনই হাওরের মানুষের জ্বালানী সংকট নিরসনে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া।
সুনামগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আহাদ বলেন, হাওরের মানুষদের গবাদি পশু ব্যবহারের জন্য উদ্বুদ্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। এর মাধ্যমে তারা বায়ু গ্যাস ব্যবহার একটি সুবিধা গ্রহন করতে পারে এর মাধ্যমে তারা জ্বালানী দূর করতে পারে। তাছাড়া রান্নার জন্য পরিবেশ বান্ধব ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।