মোসাইদ রাহাত ::
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ বছরে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। শিক্ষা, চিকিৎসা, বিদ্যুৎসহ উন্নয়নে এমন কোনো স্থান নেই যেখানে উন্নয়ন হয়নি। সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, আর অবকাঠামো খাতে। ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে গেছে। তাই আমাদের কর্তব্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দেওয়া। আর এই দেওয়ার একটাই মাধ্যমে আগামী নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্য ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করা। আমি মনে করি বাংলাদেশকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা এগিয়ে নিতে এই সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে ৩ ব্যাপি উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সহকারি কমিশনার মো. আল আমিন সরকারের পরিচালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আহাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, সুনামগঞ্জ-মৌলভীবাজার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. শামছুন্নাহার বেগম শাহানা রাব্বানী, পরিকল্পনা কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. দেলোয়ার বখত, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ খান, পৌর মেয়র নাদের বখত।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম এ মান্নান আরো বলেন, আমরা এখন একটি উজ্জীবিত জাতি। এক সময় আমরা ঔপনিবেশিক জাতিতে পরিচিত ছিলাম। বর্তমানে আমরা নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নত হয়েছি। আমাদেরকে কেউ এখন গরীব দেশ বলতে পারে না। বাংলাদেশে উন্নয়ন সবচয় হচ্ছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই সকল উন্নয়নে দাবিদার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে ও প্রধান মন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে পুনরায় শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক সময় হাওরের কথা বলেন। হাওরের কোনো সমস্যা আছে কি না তা তিনি প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর রাখেন। তিনি হাওরের উন্নয়নের জন্য আর কি কি করা প্রয়োজন জানতে চান। তিনি বলেন হাওর এলাকার উন্নয়ন নিয়ে আপনারা প্রকল্প নিয়ে আসুন।
সুনামগঞ্জের উন্নয়ন নিয়ে প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সুনামগঞ্জকে আগে অনেকে চিনত না। সবাই মনে করতো এটা হলো অবহেলিত জেলা। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার আসার পর সুনামগঞ্জে ১৩ ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এ জেলায় মেডিকেল কলেজ হবে। তাতে করে জেলার ছাত্র-ছাত্রীদেরও জেলার বাইরে গিয়ে পড়াশুনা করতে হবে না। তাছাড়া সুনামগঞ্জে একটি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্থর উদ্বোধন করা হবে। তিনি বলেন, আমাদের রানীগঞ্জ সেতু আগামী বছরের মধ্যেই হয়ে যাবে। বর্তমান প্রকল্পনুযায়ী সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট ডুয়েল রেললাইন করা হবে। আমরা দিরাইয়ের রাস্তার মেরামতের কাজ চূড়ান্তভাবে হাতে নিয়েছি। তাছাড়া আরো অনেক উন্নয়ন করা হবে যা আগামীতে দৃশ্যমান হবে।
এর আগে সকালে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে মিলিত হয়। এসময় সারা বাংলাদেশে এক সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৪র্থ উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।