স্টাফ রিপোর্টার ::
শহরের ইজি বাইক চলাচল বিষয়ে সুধীজনের সাথে মতবিনিময় করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন। রোববার সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নিজ বাসভবনে এ মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাড. হুমায়ুন মঞ্জুর চৌধুরী, অ্যাড. স্বপন কুমার দেব, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার আলী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মল্লিক মঈন উদ্দিন সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হায়দার চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, কোষাধ্যক্ষ ইশতিয়াক আহমদ শামীম, অ্যাড. স্বপন কুমার দাশ রায়, অ্যাড. রোকেস লেইস, অ্যাড.রুহুল তুহিন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া, জেলা পরিষদের সদস্য ফৌজি আরা বেগম শাম্মী, জাতীয় পার্টি নেতা ইনান ইসমাম চৌধুরী, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, হাইকোর্টের রায় নুযায়ী সুনামগঞ্জের পৌর এলাকায় সকল প্রকারের ইজিবাইক বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু ইজিবাইক চালকরা বেকার হয়ে পড়েছে। পৌর শহরে প্রায় ৩৫০০ মতো ইজিবাইক চলাচল করতো। যা একটি পৌর শহরের জন্য অনেক বেশি। কিন্তু এই সকল ইজিবাইক চলাচলে কোনো নিয়ম ছিলো না।
অন্যদিকে বক্তারা ইজিবাইক চলাচলের অনুমতি প্রসঙ্গে বলেন, সুনামগঞ্জ পৌর এলাকা এতো বড় শহর না যে এখানে ৩ হাজারেরর উপর ইজিবাইক প্রয়োজন। যেহেতু হাইকোর্ট রায় দিয়েছে এটা চলাচল করতে পারবে না তবু যদি তারা হাইকোর্টে গিয়ে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে তা আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারে তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু তা একটি নির্দিষ্ট পরিসংখ্যায় ও নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ইজিবাইক চলাচলের অনুমতি যেন দেওয়া হয়। তাছাড়া ১৮ বছরের নিচে কাউকে যেন ইজিবাইক চলাচলের জন্য অনুমতি না দেওয়া হয় সেদিকে সকলের লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানান সুশীল সমাজের বক্তারা।
মতবিনিময় সভায় ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন বলেন, ইজিবাইক শ্রমিকদের একটি পক্ষ আমার কাছে এসেছে তাদের জন্য কিছু করা যায় কি না। আমি তাদেরকে আইনের সাথে চলে কাজ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু আমি চাই যদি মহামান্য হাইকোর্ট যদি তাদের পক্ষে রায় দেন, তাহলে তা যেন একটি নির্দিষ্ট সংখ্যায় দেওয়া হয়।