স্টাফ রিপোর্টার::
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, যারা জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে তারা সবাই জিরো। তাই জাতীয় ঐক্যের ফলও শুন্য। উপস্থিত সুধীজনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কারা জাতীয় ঐক্য গড়তে চায় আপনারা তাদেরকে চিনেন। ব্যক্তিগতভাবে তারা সবাই জিরো। জিরো প্লাস জিরো, ইকোয়েলটু জিরো। তাই এদের নিয়ে বেশি ভাববার সময় নেই। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, যথা সময়ে সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং বর্তমান জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলের সমন্বয়েই নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারে অন্য কারো থাকার সুযোগ নেই।
রোববার দুপুরে দিরাই পৌর শহরের বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমিতে আয়োজিত ‘মেয়েদের শিক্ষা ও ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক এক সেমিনারে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিএনপি দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ দল তারা নির্বাচনে আসবে কি না বা নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারে তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে কি না এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি একসময় বড় দল ছিল। এখন বড় দল আছে কি না আমার সন্দেহ আছে। নির্বাচন কালীন সরকারে সংসদের প্রতিনিধিত্ববিহীন কোন দলের থাকার সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদুস সামাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জামিল চৌধুরীর পরিচালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুল হক, সুনামগঞ্জে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো, এমরান হোসেন, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান। সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল আলম, নারী ভাইস চেয়ারম্যান ছবি চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন সিকদার, ফিমেই একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রবাসী কায়েছ চৌধুরী, পলা ইসলাম, আবদুল মোতালেব। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ নাজমা বেগম।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আরো বলেন, জনসেবায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এই দেশের মানুষ ভালো, তাদের কোনো কিছুর সুযোগ দিলে তারা পথ বের করে নেয়। যে কোনো ভালো কাজ তারা করতে পারে। শিক্ষার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর যুগোপযোগী বিশেষ কিছু চিন্তা ভাবনা আছে। তিনি চান, গ্রাজুয়েশন পর্যন্ত শিক্ষাকে বিনামূল্যে করে দিতে। প্রধানমন্ত্রীর কথা হলো, মানুষ শিক্ষিত হলে দেশপ্রেমিক হয় এবং মানসিকতার পরিবর্তন আসে। কিন্তু টাকার সমস্যার কারণে আমি তার সব কথা রাখতে পারিনা।
নারী উন্নয়ন বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, যে দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী সে দেশে নারীদের পিছনে ফেলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকার নারীদের শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে ব্যাপক কাজ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমাজের অসহায় বেকার নারীদের দক্ষ মানব সম্পদে গড়ে তুলতে কারিগরী ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশের নারী নেতৃত্বের বিকাশের দিকে ইঙ্গিত করে মন্ত্রী বলেন, দেশে নারী নেতৃত্বের জয় জয়কার। বাংলাদেশের সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার, সংসদ উপনেতা ও বিরোধী দলের নেতা-সকলে নারী।
নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পোশাক ও ওষুধ শিল্পসহ তথ্য প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।