বিশ্বম্ভরপুর প্রতিনিধি ::
গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ পলাতক রয়েছেন। বৃহস্পতিবার অফিস করেননি তিনি। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ ছিল। এদিকে তাকে গ্রেফতার দাবি করে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সাধারণ জনতার উদ্যোগে মিছিল সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পয়েন্টে এ কর্মসূচি পালিত হয়। প্রতিবাদী সমাবেশে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করে বক্তব্য দেন ধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার। তিনি অবিলম্বে চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
এদিকে মানববন্ধন পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, ধর্ষণের ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে একটি পক্ষ উঠেপড়ে লেগেছে। তারা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে দৃষ্টি অন্যদিকে সরাতে চাচ্ছে। বক্তারা অবিলম্বে উপজেলা চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
সাংবাদিক হাসান বশিরের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নুরুল আলম সিদ্দিকী, অলিমান তালুকদার, কালি কুমার, মোশারফ হোসেন বাবলু, জুয়েল আলম, হুমায়ুন কবির পাপন, কামরুজ্জামান কামরুল, সাইফুল আলম, তরিকুল ইসলাম, আব্দুস সালাম, শফিকুল ইসলাম, আব্দুর রহমান প্রমুখ।
এদিকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর ওই গৃহবধূকে হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার বিকেলে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ এক হতদরিদ্র নারীকে (২৬) সেলাই মেশিন দেওয়ার কথা বলে তাকে কার্যালয়ের খাসকক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন। নারীটির আর্তচিৎকারে এলাকাবাসী ও পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯ (১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। বিশ্বম্ভরপুর থানার মামলা নং ২০।