স্টাফ রিপোর্টার ::
শহরের উত্তম লাল কলোনীতে টিপু চন্দ্র বাল্মিকী নামে এক তরুণকে মারধর করা হয়েছে। বুধবার রাতেই এ ব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন আহত টিপু চন্দ্রের বড় বোন লিপি বাল্মিকী।
অভিযোগে বলা হয়েছে, বুধবার রাতে উত্তম লাল কলোনীতে নোহা গাড়ি দিয়ে ধোপাখালী এলাকার ওয়াব আলীর পুত্র মো. সালেহ মিয়া (২৮)সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪ জন বাসার ভেতরে এসে টিপুর প্রতিবেশী কৃষাণকে খুঁজতে থাকে। এসময় বাসার দরোজার সামনে টিপু বাল্মিকী ওই যুবকদের জানান কৃষাণ কোথায় আছে তার জানা নেই। এ কথা বলার পরপরই টিপুকে মারধর শুরু করে ওই যুবকেরা। মারতে মারতে তাকে রক্তাক্ত করে ফেলে যায়।
লিপি বাল্মিকী অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার ভাইকে মারধর করে যাবার সময় যুবকেরা তার ভাইয়ের গলার ১ ভরি স্বর্ণের চেইন ও হাতে থাকা মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। টিপুর আর্ত চিৎকারে বাসার মানুষেরা এগিয়ে আসায় নোহা গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায় যুবকেরা। রাতেই আহত টিপুকে উদ্ধার করে স্বজনরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
এ ব্যাপারে আহত টিপু চন্দ্র বাল্মিকী বলেন, আমি ৫ জনের মধ্যে ১ জনকে চিনতে পারি। সে মোরগ বাজারের শাহ আলম। তারা আমাদের প্রতিবেশী কৃষাণ বাসায় আছে কি-না জিজ্ঞেস করলে আমি তাদের বলেছিলাম আমি জানিনা। এ কথা বলার সাথে সাথেই আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত করে। তারা আমার স্বর্ণের চেইন ও মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। একজন অফিসারকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি।