শাল্লা প্রতিনিধি ::
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেছেন, আমি যখন ইউএনও ছিলাম তখন আমার এক বন্ধু বলেছিলেন আমি যেন কোনোদিন দুর্গম এলাকা শাল্লায় না আসি। মাত্র ক’দিন হল আমি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি। আমার ইচ্ছাই ছিল প্রথম মতবিনিময় করবো শাল্লাবাসীর সঙ্গে। একটু ব্যতিক্রম হলেও এই প্রথম আমি শাল্লায় এসেছি। শাল্লার মানুষের জীবনযাত্রা দেখে আমি আবেগাপ্লুত। ফসলহানির পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রথম এসেছিলেন আপনাদের শাল্লায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবসময় আপনাদের পাশে ছিলেন এবং আছেন। আজ আমিও বলছি, সুনামগঞ্জ যতদিন আছি ততদিন বারবার আমি শাল্লায় আসবো। হাওর এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাব। হাওর এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষকের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা, যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নে আমার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গণমিলনায়তনে ২০২১ এসডিজি -২০৩০ বাস্তবায়ন এবং নিরাপদ সড়কের জন্য নাগরিক কর্তব্য সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা শরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মৎস্য কর্মকর্তা মামুনুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গনেন্দ্র চন্দ্র সরকার। আরো বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব সোবহানী চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেজিয়া বেগম, সাবেক বাহাড়া ইউপি চেয়ারম্যান রামানন্দ দাস, বাহাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বিধান চন্দ্র চৌধুরী, আ.লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস ছত্তার মিয়া প্রমুখ।
সভায় মুক্তিযোদ্ধা, ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ কৃষকগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক উপজেলার ১২টি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ে নৌপথে যাতায়াতের জন্য ১২টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা আগামী বর্ষায় দেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। উপজেলার দুর্গম অঞ্চলে আবাসিক প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করার কথাও তিনি উল্লেখ করেন। তাছাড়া শাল্লা সরকারি ডিগ্রি কলেজে হোস্টেল নির্মাণ করার বিষয়েও তিনি আশ্বস্ত করেন।
এর পূর্বে শাহীদ আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, গোবিন্দ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এবং শাল্লা সরকারি ডিগ্রি কলেজ, ব্র্যাকসহ দিরাই-শাল্লা রাস্তা পরিদর্শন করেন তিনি।